দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় গনপরিবহন চালকদের দৌরাত্ম্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের থামানোর যেন কেউ নেই। এখানে গণ পরিবহনের অবস্থা কাগজে আছে সড়কে নেই। চালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পথচারীরা সংকিত হয়ে পড়েছে। এ কারনে দোহার-নবাবগজ্ঞে দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাচ্ছে। এমন ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা। এসব চালকদের অনেকেরই নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। অনেক সময় চালকের পরিবর্তে বাসচালায় হেলপার। বালু ভর্তি ট্রাকগুলো চলছে বেপরোয়া গতিতে। মটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা উন্মাদ গতিতে চলাচল করছে। অধিকাংশ মোটর সাইকেল চলছে সরকারি নিবন্ধন ছাড়া। ফলে সড়ক দুর্ঘটনাও দিনদিন বৃদ্ধিপাচ্ছে।
গত (১১ মার্চ), ২০২৪, সোমবার দোহারের কার্তিকপুর বাজার সংলগ্ন ঢাকা মৈনট রোডে ট্রাক এবং সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজির পিছনে থাকা মোটর সাইকেলও দুর্ঘটনার কবলে পরে। ঘটনাস্থলেই ১৮ বছরের এক যুবক নিহত হয়। হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। জানা যায় নিহত যুবকের নাম মাহফুজ কাজী (১৮)। তার পিতার নাম ইসমাঈল কাজী। অপর দিকে গত (২৩ মে) বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে নবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলাকোপা কোকিল প্যারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সমিতির সহ সভাপতি মো: মাজেদ খন্দকার মানিক (৭২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মানিক ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুস সালাম সাহেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হয়ে নিজ বাস ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন। বাড়িতে ঢোকার সময় তাকে একটি গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শুক্রবার (২৪ মে) ভোরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মানিকের বাড়ি উপজেলার নোয়াদ্দা গ্রামে।
তাছাড়া বিভিন্ন যানবাহনে উচ্চহারে হর্নে ঘটাচ্ছে শব্দ দূশন। ইঞ্জিনচালিত মোটরযান গুলো ধেকে নির্গত হচ্ছে কালোধোয়া। যা আঘাত করছে প্রাকিতিক পরিবেশের উপর। বিভিন্ন বাজার গুলোতে দেখা যায় মোটর সাইকেল ও অটোরিকসা যত্রতত্র পারকিং করে রাখা হয়েছে, নিয়মরীতির তোয়াক্কা না করে ইউটার্ন নিচ্ছে, তাছাড়া রাস্তার উপর বসেছে অস্থায়ী দোকানের পরসা, রাস্তার উপর রাখা হয়েছে নির্মান সামগ্রী, যা বিগ্ন ঘটাচ্ছে গাড়ি চলাচলে।