নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ করেছে মৃতের স্বজনেরা।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপ্ত চন্দ্র কুরি, চিকিৎসকের সহকারী ইফতেখার উদ্দিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশরাফ আলীকে ভাসানচর ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম নাম সালাউদ্দিন মিরন (৫৫)। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মিরন উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব খিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।
নিহতের ছেলে অভিযোগ করে জানান, রোববার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তাঁর বাবা দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় সংস্থার লোকজন ও বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্য কেউ ছিলেন না। এরপর তিনি বাবাকে জরুরি বিভাগে রেখে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় যান নার্সদের খোঁজে। সেখানেও কোনো নার্স বা ওয়ার্ডবয়কে পাননি তিনি।
এভাবে উপর-নিচে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও কোনো চিকিৎসক, নার্স কিংবা অন্য কারও দেখা পাননি।
এক পর্যায়ে তাঁর বাবা সকাল আটটার দিকে ছটফট করতে করতে বিনা চিকিৎসায় তাঁর কোলেই মারা যান। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। এ ঘটনায় তিনজনকে ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.