পানির দামে চামড়া বিক্রি: আখাউড়ায় হতাশ কোরবানিদাতারা, সিন্ডিকেটের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পানির দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে, ক্রেতাও কম। হতাশ কোরবানিদাতারা সিন্ডিকেটের অভিযোগ করছেন, প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে এবার কোরবানির চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দামে। চামড়া ক্রেতার সংখ্যাও ছিল অপর্যাপ্ত, এমনকি কিছু কিছু জায়গায় ক্রেতার দেখাই মেলেনি। যেখানে ক্রেতা এসেছেন, সেখানেও গরুর চামড়া ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির চামড়া কেউ কিনতেই রাজি হয়নি। চামড়ার এমন দাম না পেয়ে চরম হতাশ কোরবানিদাতারা, অনেকেই মাদরাসায় চামড়া দান করেছেন অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
পৌরশহরের বাসিন্দা রহমত নামের এক ব্যক্তি বলেন, “চামড়া কিনতে কেউ আসেনি। ভাবছি মাদরাসায় দিয়ে দেব।” এমন চিত্র আখাউড়ার অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে, যেখানে কোরবানিদাতারা আশানুরূপ দাম না পেয়ে চামড়া দান করতে অথবা নষ্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন।
খড়মপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম খাদেম অভিযোগ করে বলেন, “চামড়া ক্রেতারা হয়তো সিন্ডিকেট করে চামড়া ক্রয় করছে না। পরে ঠিকই কম দামে চামড়া কিনবে।” তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “চামড়া বিক্রির টাকাটা গরিবদের হক। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কৌশলে গরিবদের এই হক নষ্ট করছে কিছু মানুষ।” তার এই বক্তব্য চামড়া ব্যবসার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, “সরকার এ বছর চামড়ার ভালো দাম দিয়েছে। কেউ যদি ইচ্ছা করে চামড়ার দাম কারসাজি করে, তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তার এই মন্তব্য সরকারের পক্ষ থেকে চামড়ার মূল্য স্থিতিশীল রাখার অঙ্গীকারের প্রতিফলন, তবে মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।