বরিশালে আদালত চত্বরে আসামির ছবি তোলায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। বাকেরগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের লোকজন এবং আইনজীবীর সরকারীদের হামলায় অন্তত ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে কয়েক দফায় এই হামলা হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও ক্যামেরাও ভাঙচুর করেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালতের সূত্রগুলো জানায়, বাকেরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার নিজের এলাকায় জমি জালিয়াতির মামলা ছিল। আদালত আজ তার সঙ্গে আরও চার জনকে কারাগারে পাঠান। সাংবাদিকরা তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে হামলা হয়।
স্থানীয় দৈনিক ভোরের আলোর ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বলেন, আসামি শহীদ হাওলাদারকে গারদখানা থেকে বের করার সময় সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে আসামির লোকজন বাধা দেন। বাধা উপেক্ষা করে সাংবাদিকেরা ছবি তোলার চেষ্টা করলে হামলা হয়। হামলাকারীরা বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন কামাল হাওলাদার সহ দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তাদের নিক্ষেপ করা ইটের টুকরা গিয়ে পড়ে ফটো সাংবাদিক নাইম মাথায়। হামলায় আহত ১৩ জন সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে বরিশাল প্রেস ক্লাবের নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তাদের উপস্থিতিতে আরেক দফা ওপর হামলা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল হক বলেন, আদালত চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। কয়েক দফা মারামারি হয়েছে বলে জেনেছি। এতে সাংবাদিক-আইনজীবীর সহকারীসহ উভয় গ্রুপের কয়েক জন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।