বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত এক ধারাবাহিক যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এই অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলভার, ২টি শুটার গান, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেন। তারা জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা প্রদান এবং অগ্নি নির্বাপনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন।
আইএসপিআর জানায়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে দ্রুত তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
