বহুল আলোচিত মরিয়ম মান্নানের মায়ের অপহরণ মামলায় খুলনার মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মায়ের অপহরণের মিথ্যা মামলা করেছিলেন, এই মর্মে রহিমা বেগম, মরিয়ম মান্নান, এবং আদুরী আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার সুপারিশ করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মুশফিক আহমেদ।
তিনি জানান, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, বরং জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে রহিমা বেগম এবং তার দুই মেয়ে মরিয়ম মান্নান ও মামলার বাদী আদুরী আক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এবং অপহরণের মামলায় জেল খাটা পাঁচ আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
রহিমা বেগম এবং তার দুই মেয়ে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ ঘটনায় জেল খাটা হেলাল শরীফ, গোলাম কিবরিয়া ও তার ভাই মো: মহিউদ্দিন জানান, মিথ্যা মামলায় তাদের জেল খাটতে হয়েছে। যারা এ নাটক সাজিয়েছিল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশার বাড়ি থেকে রহিমা বেগম ‘নিখোঁজের’ পর তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পোস্টারিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মাকে ফিরে পেতে মরিয়ম মান্নানের আহাজারি ভাইরাল হয়।
এক পর্যায়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা পুলিশ তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে মরিয়ম ফেসবুকে পোস্ট দেন। কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা রহিমাকে উদ্ধার করে।