সারাদেশ

ক্যাম্পে হত্যার বর্ণনা দিয়ে রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিও ভাইরাল

ফেসবুকে অস্ত্র হাতে মোহাম্মদ হাশিম নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের একটি ভিডিও সোশ্যালে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইসলামী মাহাজ’ এর সদস্য দাবি করে কয়েকটি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এদিকে ভিডিওটি নজরে এসেছে পুলিশেরও। তারা বলেছেন, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ভিডিও’র অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

ভিডিওতে ওই যুবক নিজেকে উখিয়া ১৮ নম্বর ক্যাম্পের ৯৩ ব্লকের আব্দুল জাব্বারের ছেলে বলে দাবি করেছেন।

ফেসবুক থেকে লাইভ করা ওই ভিডিওতে তিনি চার মাঝিকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন। যার জন্য তাদের দেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা।

হাশিম বলেন, তাদের মূল কাজ ছিল প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করাদের হত্যা করা। সম্প্রতি সময় ৫-৬ দিনের মধ্যে মাহাজ তিন মাঝিসহ এই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছে।

ওই ভিডিওতে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেছেন, ১৮ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, সাত নং ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে তারা হত্যা করেছে।

একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও নেয় মোহাম্মদ হাশিম।

তারা হলেন, জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও জানান এই রোহিঙ্গা যুবক।

মোহাম্মদ হাশিম আরও উল্লেখ করেন, তাদের সামনে আরও বড়ো মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাচ্ছেন।

অপরদিকে ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা জানান, ইসলামী মাহাজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব রকমের অপরাধ করে আসছে এবং ক্যাম্পের বড়ো ধরনের নাশকতা করে এই সংগঠনের সদস্যরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভিডিওটা তারা দেখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে এই ভিডিও প্রকাশের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, একটি গ্রুপ আরেকটি গ্রুপকে ফাঁসতে এমন ভিডিও ছড়াতে পারে। তবে তদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker