সারাদেশ

হাতিরঝিল থানায় আসামির আত্মহত্যা, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে থাকা সুমন শেখ (২৭) নামে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে পুলিশ।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আজিমুল হক এ তথ্য জানান।

বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার এসআই হেমায়েত হোসেন ও কনস্টেবল মো: জাকারিয়া।

তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৫ আগস্ট ইউনিলিভারের পিউরিট কোম্পানি থেকে ৫৩ লাখ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- আল আমিন, সোহেল রানা ও অনিক হোসেন। তারা এখন কারাগারে আছেন। ওই তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদ ও চুরির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রুম্মন শেখকে শনাক্ত করা হয়। এরপর গতকাল শুক্রবার বিকেলে রামপুরা মহানগর এলাকার বাসা থেকে রুম্মনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বাসা থেকে তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এরপর অভিযান শেষে রাত ১১টার দিকে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

ডিসি আরও বলেন, শনিবার সকালে রুম্মন শেখকে আদালতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দিনগত রাতে রাত ৩টা ৩২ মিনিটে রুম্মন তার পরনে থাকা ট্রাউজার দিয়ে লোহার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। এ ফুটেজ নিহতের স্ত্রীসহ স্বজনদেরও দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় রাতে ডিউটি অফিসার হেমায়েত হোসেন ও কনস্টেবল মো: জাকারিয়াকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে সুমন শেখের মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে হাতিরঝিল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্বজনরা।

সুমনের আত্মীয় সোহেল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে একটি চুরির মামলায় সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুমন রামপুরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে। আজ আমরা জানতে পারি সে থানার ভেতরে মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, সুমন থানায় আত্মহত্যা করেছে এমন সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ আমাদের দেখিয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাত সাড়ে ৩টায় সুমন তার পরনের ট্রাউজার দিয়ে থানার গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করছে। আমাদের প্রশ্ন, থানায় পুলিশের হেফাজতে একজন লোক কীভাবে আত্মহত্যা করে?

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker