জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিষ খেয়ে রোকসানা আক্তার(২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গত (১২ জুলাই) সোমবার দুপুরে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান গ্রামের (বিলপার পূর্ব পাড়া) এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে বিষ খেয়ে মারা যাওয়ার সাথে সাথে সেখান থেকে স্ত্রী’কে রেখে পালিয়ে যান স্বামী লাভলু মিয়া। পরে সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয় ও গৃহবধূ পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ছয় মাস পূর্বে উপজেলার মহাদান গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের মেয়ে রোকসানার সাথে একই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে লাভলু মিয়া (২২) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সুবাদে স্বামী লাভলু মিয়া ঢাকায় বসবাস করতো। এখন এলাকায় থেকে ইলেকট্রিক কাজ করে সংসার চালান।বিয়ের পর হতে সংসারে রয়েছিল পারিবারিক কলহ। তবে মুুল কলহ কি ছিলো সেটা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারেনি। তবে অনেকের ধারনা স্বামী-স্ত্রীর মধ্য কোন গোপনীয় সমস্যার জন্যই এরকম হতে পারে। বিষ খাওয়ার কারণ জানতে বার বার স্বামীর পিছু ছুটেও মৃত্যুর কারণ জানা যায়’নি এই সময়। এই বিষয়ে খোঁজ নিতে বাড়ীতে এসে সবাইকে পেলেও স্বামীকে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে মেয়ের জ্যাঠা মামুন বলেন, তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলতে পারেন, কেননা আমাদের মেয়ে বিষ খাওয়ার কথা নয়। আমরা জানতে পেরেছি লাভলু মাঝে মাঝেই আমাদের মেয়েকে মারধোর করতো। তিনি আরো বলেন,’ মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে। গৃহবধূর বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত এক সপ্তাহ আগে মেয়ের বাড়িতে এসে জামাই এবং মেয়ের শশুর-শাশুড়িকে দাওয়া দিয়ে যান।কিন্তু জামাই এবং তার বাবা-মা আমার বাড়িতে না আসায় আজ সকালে মেয়ে আমার বাড়ি থেকে তার শশুড় বাড়িতে চলে আসেন। পরে বেলা ১২টার দিকে জানতে পারলাম আমার মেয়ে বিষ পান করে আত্নহত্যা করেছেন। কিন্তু আমার মেয়ে বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করতে পারেনা। তাকে পরিকল্পিত ভাবেই মেরে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহবধূর শাশুড়ির কাছে জানতে চাইলেও তিনি কথা বলতে পারবেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা প্রক্রিয়া চলছে।