ভারতীয় ভেরিউন্টের প্রভাবে রাজশাহীতে মৃত্য ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ ই জুন থেকে ৩০ শে জুন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় কঠোর লকডাউন পরিচালনা করা হয়। এর পর ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন চলতে থাকে।
রাজশাহীতে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন থাকায় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বের হচ্ছে মানুষ। যদিও লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন প্লাটুন সেনা, বিজিবি ও আনসার বাহিনী। এছাড়াও মাঠে কাজ করছে ২২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে, মার্কেট খোলার দাবীতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে নগরের সাহেব বাজার এলাকায় আর ডি এ মার্কেটের সামনে সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী কর্মচারীরা হাতে থালা নিয়ে বিক্ষোভ করে শনিবার থেকে মার্কেট খোলার দাবী করেছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় আবার বিক্ষোভের আশংকায় সতর্কতা অবস্থান নেয় প্রশাসন।
নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আবু সালাম বললেন,
কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে তারা কাজ করে চলেছেন। গত শুক্রবার বিধিনিষেধ ও সাস্থ্যবিধি না মানায় ৪৮ জনের কাঁছে ৩৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ২ জন কে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ১৪ জনের মৃত্য হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ৭ জন। বাকিদের মধ্যে নাটোরের ৪ জন, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, ও জয়পুরহাটের ১ জন করে ৩ জন মৃত্যবরন করেন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ৬০ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৫৪ বেডের বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫২২ জন। এছাড়াও আই সি ইউ তে ভর্তি আছে ১৯ জন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.