করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলা ও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ১ জুলাই থেকে দেশের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছেন। যা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।তারা লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে রাত দিন শহর থেকে গ্রামে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা লোকজন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শহর থেকে গ্রামে। নানা অজুহাতে ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন,মানছেন কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি । রবিবার বেলা ১১ টায় এমনি বাস্তব চিত্র দেখা গেছে, তাড়াশ পৌর কাঁচা বাজার ও আলেপ মোড়ে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা বাজার ও গ্যারেজে মানুষের উপচেপড়া ভিড় অধিকাংশ লোকের মুখেই নেই কোন মাক্স ,মানছেন কোন সামাজিক দূরত্ব আবার গাদাগাদি করে চড়ছেন অটো ভ্যান,রিক্সা ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে।
পরশ নামে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন আমরা এভাবে কতদিন ঘরে আটকে থাকবো ,আমাদের প্রতিদিন নানা প্রয়োজন মিটাতে হয় এজন্য সেগুলোর তাগিদেই বাজারে এসেছি। আক্কাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমরা অটো ভ্যান চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করি ,যদি আমি একদিন ঘরে বসে থাকি তাহলে আর ঘরে চুলা জ্বলবেনা। জীবিকার তাগিদেই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি যথা সম্ভব মাক্স পড়ার চেষ্টা করছি যখন প্রচন্ড গরম লাগে তখন খুলে রেখে দেই।
অন্যদিকে গ্রামের দোকানগুলোতে চলছে ক্রাম বোর্ড ও লুডু খেলার আড্ডা, বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে চলছে কিশোরদের গ্রেম খেলার আসর।
এদিকে বিনসাড়া হাট,মাঝদক্ষিনা বাজার, চারমাথা ,গোন্তা বাজারেও মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম (মিজিউন) মিশন ৯০ কে বলেন, আমরা শহর থেকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে টহল দিচ্ছি।যেখানেই লোক জমায়েতের কথা শুনছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আমাদের স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।