হেলাল উদ্দিন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়লই ওয়াপদা বাজার এলাকায় ২৮ জুন সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা এক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে বেশকিছু বসতবাড়ি। ঝড়ের আঘাতে একটি বসতবাড়ি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে গেছে। আরো ২৩ টির মত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ে কবলে পড়ে আজিজুল হকের বসতবাড়ির ৪টি টিনের ঘর পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েগেছে। বাড়ির অদূরে তার জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মুরগির ফার্মটিও ঝড়ে উপড়ে গেছে।
আজিজুলের স্ত্রী জায়েদা বেগম বলেন, সন্ধ্যায় রান্না ঘরে রান্না করছিলাম। হঠাৎই ঝড় শুরু হলে। আমি বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে আসি। মুহূর্তেই আমার চোখের সামনে বাড়ির সবগুলো ঘর ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেল। এসময় আমি বাচ্চাদের আঁকড়ে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। তারপরও আমার ও বাচ্চাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি।
জায়দা বেগম নিজে ও বাচ্চাদের বাঁচাতে পারলেও ঝড়ের কবল থেকে বাঁচেনি বসতবাড়ির কোনকিছুই। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের বেড়া, চালের টিনসহ আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে। আজিজুল হক বলেন, ঝড়ের আঘাতে আমার বসতঘর, আসবাবপত্র, নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন বউ বাচ্চা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। মাথা গোঁজার জন্য ঘর তৈরি আর সন্তানের খাবারের জন্য সরকারি বেসরকারি সহায়তা চাই। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ের তান্ডবে ওই এলাকার মজনু মিয়ার ২ টি, ছাবরুল হকের ২ টি, জাহাঙ্গীর আলমের ১ টি, আরিফুল হকের ২ টি, হামিদুল হকের ১ টি, জাবেদ আলীর ২ টি, আব্দুস সোবহানের ১ টি, এরশাদুল হকের ১টি, কপিল মিয়ার ১টি, জোবেদ আলীর ১টি, মোজাম্মেল হকের ১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঝড়ের তান্ডবে ওখানকার বরেন্দ্রের গভীর নলকূপের পাকা দালান ঘর ভেঙ্গে মাটিতে মিশে গেছে। ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে বেশকিছু গাছ।