আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি পুকুরের পাড় থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- স্বপ্না খাতুন (২৫), লামিয়া খাতুন (২২) ও দুই বছরের শিশু হাবিব। স্বপ্না-লামিয়া সম্পর্কে দুই বোন। স্বপ্না গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, মিজমিজি এলাকার একটি পুকুরে স্থানীয় বাসিন্দারা বস্তাবন্দি খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো পাঁচ দিন আগের হতে পারে। আমরা নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করেছি।
এলাকাবাসীর বরাতে পুলিশ জানায়, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন একজন মাদকাসক্ত। তিনি মাদকের মামলায় কিছুদিন আগে জেলেও ছিলেন। কয়েকদিন আগে নেশার টাকার জন্য ইয়াসিন স্ত্রী লামিয়াকে মারধর করেন। এরপর এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে আমরা ধারণা করছি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, খণ্ডবিখণ্ড তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।