ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আবারও কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসীসহ শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। বাস ও রেল স্টেশনে ভিড় না থাকায় স্বস্তিতেই ফিরছেন তারা। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন প্রবেশপথ ঘুরে দেখা যায় ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্লে ফিরছে মানুষ।
চন্দ্রায় কালিয়াকৈর বাইপাস, সফিপুর সহ প্রায় সব বাস টার্মিনালে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা যায়। এদিকে দিনবর রোদ্র থাকলেও বিকাল থেকেই শুর হয়েছে বৃষ্টি।আর এ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই যাত্রীদের কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে।
এবছর স্বাধীনতা দিবস, শব-ই কদর, ঈদ ও সপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক ছুটি পায় নগরবাসী। ফলে অনেকেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নাড়িরটানে নগর ছাড়ে সাধারণ মানুষ।
যাত্রীরা জানান, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা সৌভাগ্যের। । যাওয়ার সময় কষ্ট হলেও স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারছেন। কোথাও কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে বরাবরের মত ঈদ পরবর্তী যাত্রায় বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ছিল যাত্রীদের মুখে।
কালিয়াকৈর সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপেরকর্মকর্তা জসিম দেওয়ান বলেন, এবারের ফিরতি ট্রিপে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। আশা করছি সব ঠিক মতই করা যাবে
এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে রোববার খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিসহ গাজীপুরের অধিকাংশ শিল্প কারখানা। তবে কিছু কিছু বেসরকারি অফিস ও শিল্প কারখানা খুললেও তিনদিনের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় তেমন কর্মব্যস্ততা ছিল না অফিসগুলোতে। সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় অফিসে।
এদিকে ঈদ যাত্রার ফিরতে পথেও চন্দ্রা এলাকায় নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। মহাসড়কে যানজট এড়াতে ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ,জেলা পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ওসি রইছ উদ্দিন জানান ঈদের ছুটিতে মহাসড়কে প্রতিবছর যে যানজট সৃষ্টি হয় এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
তবে এবার মহাসড়কে যানজট এড়াতে ও যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদারে যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি।ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদারে একই ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।