বাণিজ্য

বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ওষুধ রপ্তানি কমেছে ৫০ কোটি টাকা

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ওষুধ রপ্তানি ৫০ কোটি টাকা কমেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মিয়ানমারে ১১১ কোটি টাকার (এক কোটি ৫০ হাজার ডলার) পণ্য রপ্তানি হয়েছে মিয়ানমারে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৭ লাখ ডলার কম।

ইপিবি সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে তিন কোটি ৮৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। যার ৭১ শতাংশ, অর্থাৎ দুই কোটি ৭৬ লাখ ডলারই ওষুধসামগ্রী। তবে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি নেমে আসে তিন কোটি ৪৭ লাখ ডলারে। এ সময় ওষুধ রপ্তানি কমেছে ৪১ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ওষুধ রপ্তানি কমেছে ৪৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

ওষুধসামগ্রী রপ্তানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় রপ্তানিতে এই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমারে ওষুধের নিবন্ধনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া রপ্তানি কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমাদের কিছু ওষুধের নিবন্ধন করতে দিয়েছি।

গত দুই বছরেও সেটার নিবন্ধন হয়নি। বরং কিছুদিন পর পর এই ডকুমেন্ট, সেই ডকুমেন্ট চাচ্ছে। মিয়ানমারে ওষুধের নিবন্ধনপ্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ প্রক্রিয়া।’ 

তিনি বলেন, ‘এই নিবন্ধনে ৩০ থেকে ৩৬ মাস সময় লাগে। অথচ আমরা আফগানিস্তানে ছয় মাসে নিবন্ধন পেয়েছি, কম্বোডিয়ায় পেয়েছি এক বছরে।

এ ছাড়া মিয়ানমারে সরকারের স্থিরতা নেই বলে সেখানে একেক সময় একেক আইন হয়। এটাও মিয়ানমারে ওষুধ রপ্তানি কমার কারণ বলে মনে করেন রাইসুল উদ্দিন সৈকত।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম নূরুল হক বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাঁদের কথায় যা বুঝলাম, সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুব খারাপ। জান্তা সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল সংঘর্ষ চলছে।’

তিনি বলেন, ‘এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে অনেক বিনিয়োগকারী। আমদানি-রপ্তানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা যাচ্ছে না। আগে সিঙ্গাপুর থেকে এলসি খোলা যেত, এখন সেটা হচ্ছে না। সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি কমে আসা স্বাভাবিক।’

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker