বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরেই মূল্যস্ফীতির হার কমতে শুরু করবে। ডিসেম্বরে এ হার কমে ৮ শতাংশে নামতে পারে। চলতি অর্থবছরের শেষ দিকে তা ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
এছাড়া দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে এ চাপও কমে আসবে।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নেতাদের সঙ্গে সোমবার দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সময় কিভাবে টুইন ডেফিসিট (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও ফিসক্যাল ডেফিসিট) ম্যানেজ করতে হয় শিখেছি।
দেশ থেকে টাকা পাচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হুন্ডির চেয়ে ব্যবসার আড়ালে ১০ গুণ বেশি অর্থ পাচার হয়। পাচারের অর্থে দুবাইতে ১৩ হাজার বাংলাদেশি কম্পানি গঠন করেছেন। আর পর্তুগালে আড়াই হাজার কম্পানি গঠন করেছেন বাংলাদেশিরা।
এসব কম্পানি গঠন করা হয়েছে পাচার করা অর্থে। কঠোর তদারকির ফলে এখন তা কমে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে নতুন করে আর কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। নতুন কোনো তহবিলও গঠন করা হবে না। আগে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে বা তহবিল গঠন করা হয়েছে সেগুলো থেকে আদায়ের মাধ্যমে ঋণের স্থিতি বা তহবিলের আকার ছোট করে আনা হচ্ছে।
এসব কম্পানি গঠন করা হয়েছে পাচার করা অর্থে। কঠোর তদারকির ফলে এখন তা কমে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে নতুন করে আর কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। নতুন কোনো তহবিলও গঠন করা হবে না। আগে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে বা তহবিল গঠন করা হয়েছে সেগুলো থেকে আদায়ের মাধ্যমে ঋণের স্থিতি বা তহবিলের আকার ছোট করে আনা হচ্ছে।