পশ্চিমবঙ্গে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু ভারতে মামলা হয়েছে, মনে হয় না খুব সহজ হবে। আমাদের দেশেও মামলা হয়েছে, সে মামলায় তাকে প্রয়োজন এটা বলে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এটা বলে আনা না গেলে সেখানে বিচার শেষ হলে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সোহেল রানার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত হবে, আদালতে এই মামলার বিচার হবে। তিনি পলাতক এই মর্মে রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে বলে উত্তরবঙ্গ সংবাদ নামে ভারতের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। আটক অবস্থায় তার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।
নর্থ বেঙ্গল বিএসএফের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও সোহেল রানাকে আটকের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটে তারা টুইটে লিখেছে, অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পরিদর্শককে আটক করা হয়েছে। বিএসএফের একটি দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করে।
গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই সোহেল রানা। ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার। সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে।
গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন গ্রাহকরা। ওই মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানার নাম উল্লেখ করা হয়।