করোনার কারণে চলা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ই-অরেঞ্জ গোপনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বিক্রি করে দেয় অন্য গ্রুপের কাছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ আরও বৃদ্ধি পায়। সর্বশেষ সোমবার ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে দেয়া এক পোস্টে ই-অরেঞ্জও জানায়, মাশরাফির সঙ্গে এখন আর তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
তারা জানায়, ই-অরেঞ্জ.সপ এর সকল সম্মানিত গ্রাহকদের জানানো যাচ্ছে যে, ই-অরেঞ্জ.সপ এর সাথে পহেলা জুলাই, ২০২১ হতে মাশরাফী বিন মর্তুজার সাথে চুক্তি শেষ হয়েছে। তাই আমাদের অফিসিয়াল কোনো বিষয়ে তিনি কোনোভাবেই অবগত নন এবং তিনি অফিসিয়ালভাবে কোনো কিছুই আপডেট দিতে পারবেন না। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি তাদের কাছে যারা পণ্য অর্ডার করেছেন, কিন্তু এখনো পণ্য হাতে পাননি।
এরপরই রাস্তায় নামে গ্রাহকরা। মাশরাফির বাড়ির সামনে হাজির হওয়া ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের নিয়ন্ত্রণ করতে এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর হতে দেখা যায়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ এর কারণে সমালোচনায় জড়ানো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার মিরপুরের বাসভবনের সামনে বিক্ষুব্ধ ও প্রতারিত গ্রাহকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এসময় তারা মাশরাফির সাথে আলোচনার দাবি জানান।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পর ই-অরেঞ্জ এর গ্রাহকরা বিচ্ছিন্নভাবে মিরপুর সাড়ে এগারোস্থ রোডে অবস্থিত মাশরাফির বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। এটি মূলত মাশরাফির ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ই-অরেঞ্জ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাশরাফি সম্প্রতি এই দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ঘোষণা দেন, তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে আর যুক্ত নন।
কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, মাশরাফিকে দেখেই তারা ই-অরেঞ্জ এর উপর আস্থা এনেছেন এবং পণ্য ক্রয়ের জন্য অর্থ দিয়েছেন। এখন মাশরাফি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে তাদের পণ্য বা অর্থ প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-১ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারিত গ্রাহকরা। রাস্তা বন্ধ করে মিছিল ও স্লোগানের কারণে এসময় রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর তারা সেখান থেকে মিরপুরস্থ মাশরাফির বাসার দিকে রওনা হন।