কেউ মানুক বা না মানুক প্রকৃতি তার আপন মহিমায় উজ্জীবিত হবেই,শীতেলী মন্থর,জীর্ণতা কাটিয়ে মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠছে বৃক্ষরাজী,বনরাজী ও প্রাণীকুল।শীতের আবরণ সরিয়ে প্রকৃতি ধীরে ধীরে উন্মোচন করছে তার নিজস্ব রঙিন রূপ।আকাশে টান টান তেজশ্রী সূর্য।
ফাল্গুনের বাতাসে মিশে আছে নতুন ঋতুর সজীব বার্তা। পলাশ, শিমুলের রঙিন আভায় চারপাশ সেজেছে নতুন রূপে। বসন্তের আগমনী ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির আনাচে-কানাচে, আর প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে জাগিয়ে তুলছে উচ্ছ্বাস।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় চোখে পড়ে, প্রকৃতির ক্যানভাসে বসন্ত তার রঙের তুলিতে এঁকে দিচ্ছে প্রাণময় এক দৃশ্যপট। কোকিলের মধুর কূজনে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারদিক, ফুলের বাগানে ভ্রমরের ব্যস্ত আনাগোনা।
গাছের ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে টকটকে লাল পলাশ আর আগুনরাঙা শিমুল। সব কিছুতেই ফুটে উঠছে ঋতুবদলের অপূর্ব সৌন্দর্য। বসন্তের এই আনন্দ আয়োজন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। নতুন রঙে, নতুন গন্ধে, নতুন সুরে প্রকৃতি যেন প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তুলেছে।
একজন জনপ্রতিনিধি ও সাংস্কৃতিক কর্মী আমিনুল হক মাখন মৃধা বলেন,শুধু শহর নয়, গ্রামেও বসন্তের আবেশ ছড়িয়ে পড়ে। আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধ আর পিঠাপুলির সুগন্ধে গ্রামীণ জীবনে বসন্তের আনন্দ যেন আরও গভীর হয়। এভাবেই ঋতুরাজ বসন্ত আসে প্রকৃতি ও মানুষের হৃদয়ে।