মাদারীপুরের কালকিনিতে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মোসা. শিখা ওরফে সীমা বেগম (২৫) নামে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে এমন দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার থেকে। এদিকে ওই নিহত গৃহবধূর স্বামীর পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ওই গৃহবধূ নিহতের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে বলে ওসি জানান।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের উত্তর আন্ডারচর গ্রামের জাহাঙ্গির বেপারীর মেয়ে শিখা ওরফে সীমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ক্ষুদ্রচর গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে রায়হানের সাথে প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি বেশ কয়েকবার সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা ওই গৃহবধূর লাশ তার স্বামীর ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
তবে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে দাবি করেছেন। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে ওই নিহত গৃহবধূর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিহত গৃহবধূর বাবা জাহাঙ্গির ব্যাপারী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী রায়হান হত্যা করেছে। আমরা তার নামে মামলা করবো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহিম মুরাদ সর্দার বলেন, রায়হান ও তার স্ত্রীকে বেশ কয়েকবার সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কে এম সোহেল রানা বলেন, নিহত গৃহবধূ শিখা ওরফে সীমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষার পরে জানা যাবে এটা হত্যা-নাকি আত্মহত্যা। তবে ওই গৃহবধূ নিহতের ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে।