ক্রিকেট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যত রেকর্ড তামিমের

গতকাল ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে কিকেট থেকে বিদায়ের কথা জানিয়ে দেন তামিম ইকবাল।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তামিম ইকবালের। যা নিয়ে সিলেটে নির্বাচকদের সাথে বৈঠকও করেছিলেন তিনি।

বিসিবির কাছে সময় নিয়েছিলেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু শেষঅবধি জানিয়ে দিলেন আর ফিরছেন তিনি। গতরাতে এক ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যেমে ক্রিকেট থেকে বিদায়ের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান।

১৭ বছর আগে ২০০৭ সালের ৯ফেব্রুয়ারি কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তার শেষ ম্যাচটাও হয়ে থাকল এই ফরম্যাটেই। শেষ ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ঘরের মাঠে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে।

বাংলাদের জার্সিতে ৭০ টেস্ট, ২৪৩ ওয়ানডে ও ৭৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তামিম ইকবাল। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে দেশের অনেকগুলো রেকর্ড গড়েছেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। 

বাংলাদেশের জার্সিতে ২৪৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫৬টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৬৫ গড়ে ৮ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন তামিম। তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার নামের পাশে ৮ হাজারের বেশি ওয়ানডে রান আছে।

রানের মতো সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতেও বাংলাদেশের মধ্যে সবার উপরে তামিম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও তামিমের (১০৩টি)। সর্বোচ্চ মাহমুদউল্লাহর ১০৭টি। 

ওয়ানডেতে এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রানও তামিমের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৮৭টি ওয়ানডে খেলে ২৮৫৩ রান করেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়েসে সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিমের। ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ বছর ২ দিনে সেঞ্চুরি করেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে তামিম সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ২০২৩ সালের এপ্রিলে। এই ফরম্যাটে ৭০টি ম্যাচ খেলে ১৩৪ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৮৯ গড়ে ৫ হাজার ১৩৪ রান করেছেন। যা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন তিনি, হাফ সেঞ্চুরিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে (৪১)। 

টেস্টে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড গড়েন তামিম। যা এখনো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংস এসেছিল এই জুটি। টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েন তামিম।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানও তামিম ইকবাল। ২০২২ সালের জুলাইয়ে অবসরের আগে ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে একটি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ২৪.৬৫ গড়ে তামিমের রান ১ হাজার ৭৫৮ রান। যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ। জাতীয় দলের হয়ে তিনি সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০২০ সালের মার্চে।

বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যাটার যার নামের পাশে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি আছে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে এই কীর্তি গড়েন তামিম। তিন ফরম্যাটে তার সেঞ্চুরি ২৫টি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ এটি, ২০ সেঞ্চুরিও নেই কারও।

২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করেন তামিম। দুই বছর পর ওয়ানডেতে স্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ মেলে তার। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়কও তিনি। তার অধীনে ৩৭ ম্যাচের মধ্যে তার দল ২১ ম্যাচে জিতেছে। সাফল্যের হার ৬০%।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker