পরিবারের অজান্তে চোখে বড় এক জটিলতা নিয়ে জন্ম হয় শিশু ইউনুসের। তার বয়স এখন ৫ বছর। জন্মের ৫ বছর পর চোখের সমস্যার বিষয়টি বুঝতে পারে তার পরিবার।
পরে ঢাকা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শিশু ইউনুসকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ইউনুসের চোখের ভিতরে টিউমার হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করা হলে ক্যান্সার পরিনত হবে। কিন্তু অপারেশন করতে প্রয়োজন অনেক টাকা। এখন বিপাকে পড়েছেন পরিবার।
শিশু ইউনুস জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার মাইজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন চত্তর (রেলওয়ে কলোনিতে) বসবাস করেন। সে চানাচুর বিক্রেতা নরুজ্জামান এর একমাত্র ছোট ছেলে।
ইউনুসের পরিবার জানান, জন্মের পর থেকে ৫ বছর যাবত ইউনুসের চোখ স্বাভাবিক ছিলো। হটাৎ কিছুদিন ধরে চোখে ব্যথা অনুভব শুরু করেন ইউনুস। পরে তৎক্ষণাৎ তাকে সরিষাবাড়ি আলেয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পরে হাসপাতালে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানান জন্ম থেকেই ইউনুসের বাম চোখটি নষ্ট এবং তার সেই চোখে টিউমার হয়েছে। আর টিউমারের যন্ত্রণায় ইউনুসের অবস্থা দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
দ্রুত অপারেশন করা না হলে ক্যান্সারের রূপ নিবে। চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে এবং ইউনুসকে সুস্থ্য করতে খরচ করতে হবে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। আর টাকার অভাবে চিকিৎসা করা না হলে ইউনুসকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়।
এদিকে দরিদ্র চানাচুর বিক্রেতা ‘নরুজ্জামান, বলেন, ‘কিভাবে এত টাকা জোগার করবো.? রেলের জায়গাতে পেয়েছি মাথা গোজার ঠাঁই, বিক্রি করি চানাচুর, পরিবারে আছে ৫ ছেলে মেয়ে। সংসার চলাই দায়, ছেলেকে বাঁচাবো কিভাবে.? সন্তানকে সুস্থ করতে প্রয়োজন প্রায় দেড় লাখ টাকা। কোথায় পাওয়া যাবে টাকা, কে দেবে?