জাতীয়

ডিবি হারুনের অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন নাজমুস সাকিব

সাবেক ডিবি হারুনকে সাংবাদিক নাজমুস সাকিব বলেন, আমার জানার ইচ্ছা ছিল ডিবি হারুন কোথায় আছেন, কি করছেন? কারণ, ৫ তারিখের পর কেউ জানতো না কোথায় আছে, কি করছে। ছাত্রদের যে তিনি গণহত্যা করলেন, সেটা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা আছে কিনা।

সাক্ষাতকারে একটাপর্যায়ে তিনি বলেছিলেন যে আপনি কি চান আমার একুল ওকুল দু’কুল চলে যাক। এরকম প্রশ্ন করার পরেও আমাকে বলা হচ্ছে আমি হারুনের দালাল। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব তথ্য জানান সাংবাদিক নাজমুস সাকিব।

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এ রকম একজন অপরাধীর ফোন নাম্বার সাংবাদিকরা পেলে তার সাক্ষাতকার নিবে এটাই সত্যি। আমি হারুনের সাক্ষাতকার ওই ভাবেই নিয়েছি।

তবে সাক্ষাতকারের আগে আমাকে কঠিন শর্ত দিয়ে দেয়, আমি তাকে কঠিন কোনো প্রশ্ন করতে পারবো না। তাহলে সে আমাকে ভবিষ্যতে সাক্ষাতকার দিবে না। ভবিষ্যতে যাতে আমি তাকে নিয়ে ফলোআপ স্টোরি করতে পারি সে জন্য তাকে আমি সফট প্রশ্ন করেছি। এটাই দর্শকদের অনেকে বুঝতে ভুল করেছে।’ 

নাজমুস সাকিব বলেন, ‘তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে। তাকে রাজ সাক্ষীও বানানো জেতে পারে। কারণ, হাসিনার যে অপরাধগুলো তা কাছ থেকে তার থেকে ভালো কেউ দেখেনি। দুর্ভাগ্যজনক, ওই সাক্ষাতকারের পর হারুন আমার নাম্বার ব্লক করে দেন এবং তার নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলেন।’ 

তিনি বলেন, ‘হারুন যতই নিজেকে এখন যতই কাকরাইল মসজিদের ইমাম দাবি করুক, এখন সবাই জানে হারুনই ছাত্রদের গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যে ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে।’

হারুনের অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষাতকারে হারুন তার অবস্থান সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি। তবে তার টাকা যারা বিদেশে পাচার করে তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, হারুন এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে আছেন। সেখানে তার সঙ্গে তার স্ত্রী সন্তান সবাই আছেন। হারুনের যে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীন কার্ড আছে সেটাও আমি প্রমাণ করে দিয়েছি।’এর আগে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
এরপর এখনো গ্রেপ্তার হননি বিক্ষোভ দমনে গুলি ছুঁড়তে নির্দেশ দেওয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।তিনি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। ২০০৬ সালে ডিভি লটারি পেয়ে তার স্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। সে সূত্রে তারা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করতেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker