মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাদারীপুরের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তওহিদ সন্নামাত। এই ঘটনায় হত্যা মামলায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে কাজল কৃষ্ণ দে কে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে ছাত্রলীগ, পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্নামাতের ছেলে তওহিদ সন্নামাত অংশগ্রহণ করলে একসময় পুলিশ ও ছাত্রলীগের গুলিতে তিনি নিহত হন।
পরে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এ বিষয় নিয়ে কথা বলতেও ভয় পেতেন অনেকেই । পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে যেখানে আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ শাজাহান খান,
আরেক সাবেক এমপি আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্ল, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দেসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীকে।
সেই হত্যা মামলায় দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কে সদর মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, দুপুরে শহরের বিসিক শিল্প এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি তওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি।