বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র শিবির যে রগ কাটে-এমন অভিযোগ প্রথম ওঠে ১৯৯৩ সালে। তবে সেই অভিযোগ কখনো প্রমাণিত হয়নি। বরং ইসলামী ছাত্র শিবিরের শতশত নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। যারাই আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন, তারাই আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন।
কলেজের আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইসলামী ছাত্রশিবির পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখা।
অনুষ্ঠানে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রলীগ সাড়ে ১৫ বছর যেভাবে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, শিক্ষার অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করে রেখেছিল।
আমাদের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস সমৃদ্ধ। আমরা যদি ৫২, ৪৭, ৭১-এর কথা বলি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা বলি, সবশেষ ২৪-এর ফ্যাসিস্ট সরকার হঠানোর আন্দোলনের কথা বলি, সব আন্দোলনে ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্ররাই দলমত নির্বিশেষে এসব আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
ছাত্র শিবিরের এডওয়ার্ড কলেজ শাখার তত্ত্বাবধায়ক রাকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও পাবনা শহর শাখা শিবিরের সভাপতি ফিরোজ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক ভিপি খান হাবিব মোস্তফা, কেন্দ্রীয় এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ।
স্বাগত বক্তব্য দেন, কলেজ শাখার শিবিরের সভাপতি তামিম হোসেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের সাবেক ভিপি খান হাবিব মোস্তফা বলেন, গোটা পৃথিবীকে আলোকিত করার জন্য আল্লাহ দুইটা সূর্য সৃষ্টি করেন নাই। মাত্র একটি সূর্যই সৃষ্টি করেছেন। তেমনি দেশকে জাগাতে একজন আবু সাঈদ-ই যথেষ্ট ছিল। তাই এই এডওয়ার্ড কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থী যদি কৃতিত্ব অর্জন করে, তাহলে পাবনার নাম সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, বিসিএস ক্যাডারের পেছনে দৌড়াতে যাবেন না। একজন চরিত্রবান মানুষের পেছনে দৌড়ান। তাহলে ইহজগৎ ও পরজগতে শান্তি পাবেন। দেশকে পরিবর্তন করতে তারুণ্যের শক্তির ঐক্য প্রয়োজন। ফ্যাসিজমের হাত থেকে রক্ষায় যেভাবে লড়াই করেছেন, তেমনি একটি দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে হবে।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। ইসলামী সঙ্গীত ও নাটিকা পরিবেশন করেন অনির্বাণ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা। তার আগে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।