বিএনপি

খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরত চাইলেন আলাল

ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলাল দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় আলাল বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়াকে মাত্র একটি পোশাকে তার বাসভবন থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছে।

ওই বাড়ির ট্রমা থেকে তাকে সুস্থ করে তুলতে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

বিএনপিপ্রধানকে অন্যায়ভাবে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি তার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

দীর্ঘ ১১ বছর পর বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন খালেদা জিয়া। এ প্রসঙ্গ টেনে আলাল বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী হিসেবে সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকাটা স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে তিনি তা করতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘সেনাকুঞ্জে আমরা খালেদা জিয়ার যে অভিব্যক্তি প্রত্যক্ষ করেছি তা ছিল পাখির মতো, যাকে বছরের পর বছর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং অবশেষে মুক্ত করা হয়েছে।’

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নবগঠিত কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে চায়। আমরা আশা করি, কমিশন অতিরিক্ত কথাবার্তা না বলে তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার যোগ্যতার পরিচয় দেবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সূচনা হলো।

আমরা আশা করি, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে সরকার যে সংস্কারকাজ শুরু করেছে তা দ্রুত সম্পন্ন হবে।’

২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সরকার সামরিক অঞ্চলে বরাদ্দে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়ার ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর তাকে সেই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, যেখানে তিনি ৩৮ বছর ধরে বসবাস করেছিলেন। তার স্বামী জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮১ সালে জিয়া নিহত হওয়ার পর তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ টোকেন মূল্যে ওই ২.৭২ একর সম্পত্তি তাকে বরাদ্দ দেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker