জামালপুরে বেসরকারি হাসপাতাল এম এ রশিদে ভুল চিকিৎসায় হাসি বেগম নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগীর মৃত্যুর পর ১৪ ব্যাগ রক্ত নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর-রাতে হাসি বেগমকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত প্রসূতি হাসি বেগম জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের শীতলকুর্শা এলাকার নুরুল মল্লিকের স্ত্রী। তাদের আরাফাত (৭) ও নুন মনি (৫) নামে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। তৃতীয় সন্তান প্রসবের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে নবজাতক সুস্থ রয়েছে।
এই ঘটনার নিহত রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
নিহত হাসি বেগমের স্বামী নুরুল মল্লিক জানান, হাসি বেগমকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে এম এ রশিদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর স্ত্রী প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন অধ্যাপক ডা. রুমানা আরমানের তত্বাবধানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার অপারেশন শেষে রাত সাড়ে ৯টায় রোগীর অবস্থা খারাপ ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে রক্ত চাওয়া হয়। একে একে ১৪ ব্যাগ রক্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু বলে আইসিইউতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ আইসিইউতে রাখার পরে আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর-রাতে হাসি বেগমকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহতের মামা রাজু আহমেদ বলেন, চিকিৎসক রুমানা আরমান আমার ভাগ্নীর একটি নাড়ি কেটে ফেলেন। তার ভুল চিকিৎসায় আমার ভাগ্নী অকালে মারা গেল। এখন এই তিনটি অবুঝ শিশুর দায়িত্ব কে নিবে? আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।