চট্টগ্রাম

মিথ্যা অপপ্রচার, বিভ্রান্তি, তথ্য সন্ত্রাস ও আওয়ামী চক্রান্তের বিরুদ্ধে যুবদল নেতার সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম বাকলিয়া এলাকায়, একজন আওয়ামী লীগ নেত্রীর মিথ্যা অপপ্রচার ও হরনিমূলক নানা কর্মকান্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

০১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল তিনটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে উক্ত সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভোগী এমদাদুল হক বাদশা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন। 

তিনি একজন সৎ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে এলাকায় সুনামের সাথে বসবাস করছেন,সেই সাথে পশ্চিম বাকলিয়া চাঁন্দমিয়া মুন্সিলেনের আংশিক মহল্লা কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

নগর যুবদলের আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, তার এলাকার জনপ্রিয়তা ও যুবদলের আগামী দিনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু স্থানীয় কুচক্রী, স্বার্থান্বেষী মহল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সমর্থিত এক নেত্রীর মাধ্যমে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জায়গা দখল মারধরের ভিডিও ধারণ করে এডিট করে তা বিভিন্ন পেইজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র আদর্শের সৈনিক হওয়ার কারণে মিথ্যা মামলা হামলা হয়রানি শুরু করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ৫৮ মামলা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় জামানা খাতুন গং থেকে গত ২২-০৪-২০২৪ তারিখে আমমোক্তার নামা(১৮৫১)মুলে একটি জায়গা খরিদ করি। জায়গাটি আমার দখলে ছিলো।

জায়গাটির পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিক মকসুদ আহমেদ চৌধুরী। মকসুদ আহমেদ চৌধুরী কন্যা সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেত্রী হওয়ায় ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে উঠে।সে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে আমার জায়গা দখল করে নেই। এমনকি জায়গাটি দখলে নেওয়ার সময় ফেসবুক লাইভে এসে আমার নামে মিথ্যা ,বানোয়াট অপপ্রচার ও তথ্য সন্ত্রাস চালাতে থাকে।

Image

পরবর্তীতে আমি এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে একটি ১৪৫ মামলা দায়ের করি। মামলা নং ৩৪৭,(০৬-০৬-২৪) আদালত জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার অব্যাহত থাকায় ১২-০৬-২০২৪ তারিখে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করি (৩৪৭/২৪)।

আওয়ামী লীগ নেত্রী সাদিয়া মকসুদ চৌধুরী ৭ জুন শুক্রবার দুপুর একটার সময় আমার তফসিলভুক্ত জায়গা দখলে যায়। খবর পেয়ে আমি স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সেইখানে উপস্থিত হয়ে, আদালতের নিষিদ্ধ থাকার পরেও কেনো জায়গায় এসেছেন জিজ্ঞাস করি। তখন উক্ত আওয়ামী নেত্রী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ভিডিও চালু করে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দিকে তেড়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওটি এডিট করে ডাবিং করে ভয়েস যুক্ত করে উক্ত মহিলাকে মারধর করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন পেইজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি জুন মাসের ঘটনাটি অক্টোবর বলে প্রচার করে।

মকসুদ আহমেদ চৌধুরীর স্ত্রী আমানা তুন নুরজাহান আমার বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন।২৫৩/২৪ মামলাটি আদালত চকবাজার থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি পুলিশ।

বিগত স্বৈরাচারের আমলেও জুলুম নির্যাতনের শিকার এখনো ঐ ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মার মদদে ওরা বিভিন্ন ভাবে সমাজের সম্মানীয় ব্যাক্তিদের চরিত্র হননে সচেষ্ট রয়েছে।।আমি জাতির বিবেক সমাজের দর্পণ সাংবাদিক সমাজের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দলীয় হাইকমান্ডের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

Author

মোহাম্মদ ইসমাইল (ইমন), স্টাফ রিপোর্টার

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ মে থেকে মিশন ৯০ নিউজে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলাকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker