ক্রিকেট

আজই সিরিজ জিততে চায় বাংলাদেশ

মাঠে বসেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি দেখেছেন নির্বাচক প্যানেলের তিন সদস্য। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় ম্যাচও দেখবেন তিন নির্বাচক। এর মাঝে গতকাল বিরতির দিন রাতে বৈঠকে বসার কথা ছিল গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির।

সেখানে থাকার কথা কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর।

আলোচনার বিষয়বস্তু—ঢাকায় শেষ দুই টি-টোয়েন্টির দল নির্বাচন। বিশ্বকাপের আগে দলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রসঙ্গও ওঠার কথা বৈঠকে। যেটা একদমই দেখা যায়নি প্রথম দুই ম্যাচে। একই ছকে টানা দুই ম্যাচ জিতে আজ সিরিজ জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

যদিও সিরিজ জয়ের চেয়েও আলোচনায় বাংলাদেশ দলের মানসিকতা।

দুই ম্যাচেই টস জিতে জিম্বাবুয়েকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে সে অর্থে পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি স্বাগতিক ব্যাটারদের। তবে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে ব্যাটারদের মাঝে বেশ জড়তা দেখা গেছে।

টপ অর্ডারে একমাত্র তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া এখনো বড় রানের দেখা পাননি লিটন দাস-নাজমুল হোসেন শান্ত। দুটি ম্যাচই শেষ করেন তাওহিদ হৃদয়। প্রথমটিতে সঙ্গী হিসেবে পান তানজিদকে, দ্বিতীয়টিতে মাহমুদ উল্লাহকে। দুই ম্যাচে শুরুতেই জিম্বাবুয়ে ধসে পড়ায় ভুগতে হয়নি বাংলাদেশকে।

প্রথম ১০ ওভারে ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলতে না পারার পেছনে গতকাল বাংলাদেশ দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসা সহকারী কোচ নিক পোথাস জানালেন, ‘উইকেট ভালো।

কিন্তু দুই দলের জন্যই প্রথম ১০ ওভারে একটু কঠিন মনে হচ্ছে। আমরা খুব ভালো বোলিং করেছি। যে কারণে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চাপে ফেলতে পেরেছি। এটা আমরা খুব ভালো করেছি। ওদেরও দুজন ভালো নতুন বলের বোলার আছে। আমার মনে হয়, আমাদের ব্যাটাররা ওই সময়টা বেশ ভালো খেলে পার করেছে। উইকেট ভালো দেখালেও শুরুতে এতটা সহজ নয়।’

সময়ের সঙ্গে ব্যাটারদের কাজটা সহজ হচ্ছে, বল নরম হয়ে যাওয়ায়। তবে তখনো রান লাগামছাড়া হতে না দেওয়ার কৃতিত্বটা বাংলাদেশের বোলারদের। দুই ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের দুটি বড় জুটি থামিয়ে সফরকারীদের অল্প রানে আটকে রাখেন তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলামরা। এই সিরিজকে বিশ্বকাপের আবহ সংগীত বলা হলেও শুরু থেকেই সিরিজ জয়কে পাখির চোখ করছিল বাংলাদেশ। পোথাসের কথায় সেটা আরেকবার পরিষ্কার, ‘আপনি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলবেন যখন তখন প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে, সিরিজটা জেতা। ওই দায়িত্ব সবার আগে ঠিকঠাক মতো পালন করতে হবে। এরপর আপনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। সুতরাং আমরা ঠিক তা-ই করেছি, যেটা এই উইকেটে জয়ের জন্য আমাদের করণীয় ছিল।’

অনেক দিন ধরে শক্তিমত্তার পার্থক্যের কারণে প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের জন্য এমন যে জিতলে খুব একটা আলোচনা হয় না। হারলে সেটা ‘টক অব দ্য টাউন।’ এটাই কি বাংলাদেশ দলকে শুরু থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটতে দেয়নি? অন্তত পোথাসের কথায় এমনটা ভেবে নিলে খুব বেশি ভুল হবে না, ‘আগেও বলেছি, প্রথম কাজ হচ্ছে সিরিজ জয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আপনি চাইলেন আর আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলাম, এরপর কিছু ভুল হলে আপনারাই আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সমালোচনা করবেন। আমাদের ওই কাজটাই করতে হবে, যেটা আমরা সঠিক মনে করব। আমি আপনাকে ভিন্ন একটা প্রশ্ন করি। আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যদি হেরে বসি, তাহলে আপনারা কি লিখবেন?’

তাহলে কি সংবাদমাধ্যমের চাপ সরাতে আগে সিরিজ জয়ের ফর্মুলা? এবার পোথাসের ভিন্ন সুর, ‘না, অবশ্যই না। আমাদের আপনাদের প্রত্যাশাও পূরণ করতে হয়। আপনারা কী লিখবেন, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি। সাংবাদিক হিসেবে আপনার কাজ প্রশ্ন করা, আপনি প্রশ্ন করছেন, কেন আমরা এটা করছি? আমিও সেটার উত্তর দিচ্ছি।’ আজ মাঠে অবশ্য জিম্বাবুয়েকে উত্তর দিতে হবে নাজমুল হাসানদের, যদিও এই প্রশ্ন (পড়ুন প্রতিপক্ষ) অপেক্ষাকৃত সহজতর!

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker