মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের ৩৬ নং চর জামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে রয়েছে বিশাল আকৃতির গর্ত এছাড়াও রয়েছে ভবন ও শিক্ষক সংকট। যে জন্য ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
এতে বিদ্যালয়টিতে আগের তুলনায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন অনেক কমে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী এ বিদ্যালয়টিতে ৬ জন শিক্ষক থাকার কথা ছিলো। কিন্তু শিক্ষক রয়েছে তার অর্ধেক।সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে দু’ টি আলাদা ভবন থাকলেও একটি ভবনের টিনের চাল নষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ রয়েছে। অন্যটি একতলা বিশিষ্ট আধাপাকা ভবন রয়েছে।
এর একটি কক্ষে শিক্ষকদের অফিস হিসেবে দু’ টির মধ্যে একটি প্রথম শ্রেণির ক্লাস আরেকটিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চলছে। অন্য আরেকটি ছোট জানালা বিহীন কক্ষে প্রাক প্রাথমিকের ক্লাস চলছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার মাঠের পশ্চিম অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত রয়েছে যেখানে দূরন্তপনা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ওঠানামা করছে, এতে যে কোন সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে শিশুরা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উছমান গনি জানান সকাল নয়টা থেকে যদিও ক্লাস এখন শীতের জন্য সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু করে বিকেল সাড়ে৪ টা পর্যন্ত ক্লাস করে সকলেই ক্লান্ত হয়ে যাই। এছাড়াও অনেক সময়ে দু’ একজন অসুস্থ হয়ে গেলে ক্লাস মিস হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শিক্ষকের চাহিদা পূরণ করা খুবই জরুরি।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাষ্টার অফিসার সালমা আক্তার জানায় এ স্কুলে শিক্ষার্থী কম থাকায় চার জন শিক্ষকের পদ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নরুল ইসলাম জানান এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান চলতি (জানুয়ারি) মাসে পিআরএল চলে গেছেন। ভবন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন আধাপাকা টিনের ঘরটি এতদিন স্থানীয়দের বেদখলে ছিলো চলতি বছর ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ সাপেক্ষে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হলে পাঠদানের উপযোগী করে দেওয়া হবে।