ই-অরেঞ্জকাণ্ডের হোতা সোহেল রানার বিদেশে রয়েছে পাঁচ তারকা হোটেল, বার, সুপারশপে বিনিয়োগ। এমনকি হদিস পাওয়া যাচ্ছে না সোহেল রানার ব্যাংক হিসাব থেকে সাড়ে তিনশো কোটি টাকার। এসব তথ্যই খতিয়ে দেখছে দুদক। সচিব বলেন, রাষ্ট্রের সম্পদ অবৈধভাবে কাউকেই ভোগ করতে দেয়া হবে না।
অনলাইন প্ল্যাটফরম ই-ভ্যালীর পর ই-অরেঞ্জ কলেঙ্কারি অনেকটাই টালমাটাল করেছে ইন্টারনেট ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্ল্যাট ফরমগুলের পূজি- বিনিয়োগ ও কার্যক্রম নিয়ে। বারবারই সামনে আসছে এসব প্ল্যাটফরমের পেছনে অর্থপাচারের যোগসূত্র। সে সন্দেহ আরো শক্ত করলো ই-অরেঞ্জের মালিক সোহেল রানার সম্পদের পাহাড়ে।
তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য বলছে, সোহেল রানার বিদেশে রয়েছে ৫ তারকা হোটেল, বার, সুপারশপের বিনিয়োগ। ই অরেঞ্জের আড়ালে বিদেশে তার বিনিয়োগের পরিমান শত কোটি টাকা।
দুদক সচিব জানান, একজন পুলিশ কর্মকর্তার এমন সম্পদের উৎস খুঁজে দেখা হবে। রাষ্ট্রের অর্থ কাউকেই অন্যায়ভাবে ভোগ করতে দেওয়া হবে না।
ই অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবের সূত্র বলছে, জুলাই পর্যন্ত দুটি হিসাবে ১ হাজার ১৩ কোটি টাকা জমা হয়। বর্তমানে জমা আছে মাত্র ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৪৯ কোটি টাকার কোনো হদিস নেই।
দুদক সচিব আরও জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ যারা এসব ই কমার্স সাইটকে অনুমোদন দিয়েছে সেসব দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান তথ্য দিলে এগিয়ে যাবে অনুসন্ধান কাজ।
এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জন অভিযোগ অনুসন্ধানে সোমবার মতিঝিল আইডিয়ালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।