লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে রাতের আঁধারে বাড়ির উঠানে ঘর উঠানোর অভিযোগ। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৩টি পরিবার।
বৃহস্পতিবার(১৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে আদিতমারী থানার অদুরে স্টেশন পাড়ার আব্দুল হাসিমের বাড়ির উঠানে এ ঘর তুলেন প্রতিপক্ষরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৬০ বছর ধরে ৩টি পাকা বাড়ি করে বসবাস করছেন শাহিনা ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল হাসিম ও তার দুই ভাই। সেই বাড়িতে তাদের ৩ পরিবার বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ সেই বাড়ির উঠানের ২১ শতাংশ জমি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবি করছেন প্রতিবেশি মৃত আকবর আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার ও আব্দুল গণি গংরা।
সেই দাবি নিয়ে লালমনিরহাট আদালতের লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে অভিযোগ দেন প্রতিপক্ষ আব্দুস সাত্তার। পর্যালোচনা করে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন লিগ্যাল এইড অফিসার।
এ দিকে আইন শৃঙ্খলার অবনতি শ্বঙ্কায় আদালতের নির্দেশে গত ২৭ জুলাই ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে আদিতমারী থানা পুলিশ। আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আব্দুস সাত্তার গংরা সেই জমিতে জোর পুর্বক ঘর উঠায়। ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আব্দুল হাসিম ও তার দুই ভাইয়ের পরিবার।
শুক্রবার(১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির উঠানে ঘরসহ দেশি অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে দেখে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে আব্দুল হাসিম। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আব্দুস সাত্তার গংরা ছটকে পড়ে।
শাহিনা ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল হাসিম বলেন, দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ক্রয়কৃত জমিতে বসবাস করে আসছি আমরা ৩ভাইয়ের পরিবার। হঠাৎ রাতের আঁধারে আব্দুস সাত্তার গংরা দেশি অস্ত্রের মুখে বাড়ির উঠানে ঘর উঠানোর চেষ্টা করছে। প্রাণহানীর শ্বঙ্কায় তাদের বাঁধা না দিয়ে পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। চার দিক ঘিরে ফেলায় আমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আব্দুস সাত্তার(৭০) বলেন, ১৯৬০ সালের রেকর্ডমুলে এ জমি আমার দাদা। দীর্ঘ দিন পরে কাগজ পেয়েছি তাই আজ ভোরে ঘর তুলেছি। আদালতের আশ্রয় না নিয়ে রাতের আঁধারে দখল করছেন কেন? এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেন নি।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ৯৯৯ নম্বরে খবরে সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।