গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১০টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সব পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
মেয়র পদে আট জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক দল সমর্থিত মোট পাঁচ জন প্রার্থীকে তাদের নিজ নিজ দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন কে টেবিল ঘড়ি, কারাবন্দি মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম রনিকে হাতি এবং হারুন অর রশীদ ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন। পরে সব প্রার্থীদের প্রতি নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল), গণফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম (মাছ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান (হাত পাখা), জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহম্মেদ (গোলাপ ফুল)।
এদিকে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নৌকা প্রতিক পেয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে দল আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জনগনের ভোটে র্নিবাচিত হয়ে গাজীপুর সিটিকে একটা আদর্শ সিটি কর্পোরেশনের হিসেবে তৈরি করে তুলতে আমি অঙ্গিকার বদ্ধ।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই শহর রক্ষার স্বার্থে, মানুষের কল্যাণের জন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমার ছেলেকে তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি । তাই জণগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। ইতোমধ্যে আমার ছেলে নগরীতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, রাস্তাঘাট উন্নয়ন-সংস্কার করেছে। আরও কাজ অসমাপ্ত আছে, আমি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সেগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি নগরীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’এ সময় জায়েদা খাতুনের পাশেই ছিলেন তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তাতে দুঃখ নেই। তবে এ সত্য মিথ্যার লড়াই আমি আমার মায়ের পাশে থেকে সত্যের জয় নিশ্চিত করবো ।