গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান মধ্যপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে আবু সুফিয়ান (১০) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
নিহত ঐ ছাত্র উপজেলার মৌচাক ইউনিয়েনর মাঝুখান এলাকার কছিমুদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় দারুসসালাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ্ বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা স্থানীয় মাঝুখান বাজারে কাপরের দোকানে র্দজির কাজ করেন।
স্থানীরা ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায় গতকাল সোমবার সকালে মাদ্রাসায় গেলে যাবার সময় মায়ের কাছে বলে যায় দুপুরের খাবার সাথে নিয়ে যাচ্ছে আজকে দুপুরে বাসায় আসবে না। রাত ৭ দিকে তার বাবাকে যেন পাঠিয়ে দেয় মাদ্রাসা থেকে আনতে এ কথা বলে বাসা থেকে মাদ্রাসায় চলে যায় সুফিয়ান। রাত ৮ টার দিকে বাবা কছিমুদ্দিন মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারে মাদ্রাসা দুপুর ১২ টার দিকে ছুটি হয়ে গেছে। এদিকে সন্তান বাড়ি না ফেরায় আত্নীয় স্বজন ও বিভিন্ন স্থানে খুজাঁখুজির পর জানতে পারে দুপুরে একই এলাকার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পুকুরে অনেকেই গোসল করতে দেখেছে। তাৎক্ষনিক রাত ১০ টার দিকে পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখে ঘাটে আবু সুফিয়ানের জামা কাপড় সেখানে। পরে রাত তিনটা পর্যন্ত পুকুরে জাল ফেলে খোজাঁখুজির পর বাসায় ফিরে আসে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ মে) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নিহতের চাচা উজ্জল হোসেন আবার জাল ফেলে নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পর ঐ পুকুর থেকে সুফিয়ানের লাশ উদ্ধার করে। পরে দুপুরে দাফন শেষে মাঝুখান কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা করা হয়। সুফিয়ানের মৃত্যুতে পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
নিহত সুফিয়ান ছিলেন দুই ভাই বোনের মধ্যে বড় ছোট বোন খাদিজা আক্তারের বয়স ৩ বছর।
নিহতের মা সুমা বেগম বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯ টার দিকে মাদ্রাসায় যায় দুপুরে বাসায় খেতে আসে কিন্তুু কালকে যাবার সময় বলে গেছে মা আমাকে দুপুরের খাবার দিয়ে দাও একবারে রাতে বাসায় আসবো বাবাকে রাতে পাঠিয়ে দিও আমাকে আনতে আমার ছেলের যে এ যাওয়াই শেষ যাওয়া হবে আমি জানতাম না। আমার একমাত্র আদরের ধনকে আমি চিরতরে হাড়িয়ে ফেললাম কথা গুলো বলতে বলতে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পরছিলেন নিহতের মা সুমা বেগম।