বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক বনফুল র্মাকেট এলাকায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল ১১ টার দিকে আফতাব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নামক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোশের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটক, নিরাপত্তাকর্মীর কক্ষের সিসি ক্যামেরা, টেলিভিশনসহ প্রোডাকসন ম্যানেজারের কক্ষে থাকা কম্পিউটার ও মূলবান জিনিসিপত্র ভাংচুড় করেছে কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় কারখানার পিএম রানা আহম্মেদ ও সিকোউরিটি ইনচার্জ জরুহুল ইসলাম আহত হয়েছেন। এতে কারখানার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মোতায়েন করা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সূত্র জানায়, পহেলা মে শ্রমিক দিবস থাকায় কারখানা বন্ধ থাকে পরের দিন যথারিতি কারখানা চলাকালীন বকেয়া বিলের কারনে ঐ কারখানার গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্যাস ও বিদুৎ র্কতৃপক্ষ। এতে ৩ মে কারখানা বন্ধ ঘোষনা করা হলে মে সকাল ১১ টার দিকে এপ্রিল মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে কারখানার শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে কারখানার মেইন গেইট, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরার মনিটর, কারখানার জানালার গ্যাসসহ ভাংচুড় করে মুল্যবান জিনিসপত্র। অপরদিকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইলে ঐ কারখানার পিএম ও সিকোউরিটি ইনচার্জ আহত হয়। এতে ঐ নিরাপত্তাকর্মীর ডান চোখ মারাত্বক ভাবে জখম হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে মৌচাক সুফিয়া ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে শ্রমিকদের দাবি নিয়মিত তারা বেতন পাননা মাসের ২৫ তারিখের পর দেয়া হয় শ্রমিকদের বেতন। এদিকে বাড়ি ভাড়া ও বাকী দোকান বিল সময় মত পরিশোধ না করার কারনে বাকী দিতে চাননা এলাকার দোকান মালিকরা।
এ ঘটনায় কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার রানা মাহমুদ বলেন, হঠাৎ করেই শ্রমিকরা কারখানায় ভাংচুড় চালায়। গ্যাস ও বিদুৎ বিল বকেয়া থাকার কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্তৃপক্ষ এ কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকরা যে বেতনের দাবি করছেন তা তো ১০ তারিখে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকে মাত্র ৪ তারিখ এখন তো বেতনের প্রশ্ন আসেনা। কে বা কারা শ্রমিকদের উষ্কানি দিয়ে এ ভাংচুড় চালিয়েছে বলে দাবি করেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের কালিয়াকৈর জোনের ইনচার্জ নিতাই চন্দ্র বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কারখানার কর্তৃপক্ষ যদি দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয় তাহলে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।