বিদায়ি মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্সের পর রপ্তানি আয়ও কমছে। একক মাসের হিসাবে এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০৫ কোটি মার্কিন ডলারের। এর বিপরীতে এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ কম।
আজ বুধবার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের মাসিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে এপ্রিলে প্রবাসী আয় কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারে। যা আগের মাসে ছিল ২০২ কোটি মার্কিন ডলার।
তবে রপ্তানি খাত সংশ্লিষ্টদের আশা, চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও আগের অর্থবছরের চেয়ে কমবে না। তারা বলেন, বড় দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যাংকঋণে সুদের হার বাড়ানো, ঈদের মাসে উৎপাদন কম, গ্যাস-বিদুৎ সংকট এবং রপ্তানি ক্রয়াদেশ কমায় রপ্তানি কমছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। সে অনুযায়ী গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের এপ্রিলে রপ্তানি আয় কমল ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, পোশাক খাতের বড় বাজারগুলোতে অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশগুলো ব্যাংকঋণের সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে সেসব দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রপ্তানিতে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.