আব্দুস সাত্তার, বিশেষ প্রতিনিধি: বৃহস্প্রতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়ার ভাতকুড়ায় তিনদিন ব্যাপী নেজামউদ্দিন অনুসারী সাদপন্থীদের এজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে। ওই তাবলীগ জামাত বন্ধ ও মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তিমুলক কথাবার্তার সুযোগ না দেওয়ার দাবীতে বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কওমী ওলামা পরিষদ (যোবায়ের পস্থী)।
এছাড়াও সাদপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে যোবায়ের পন্থী তাবলীগ জামাত গ্রুপ। তারা টাঙ্গাইল শহরের ঈদগাঁহ ময়দানে জড়ো হচ্ছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের তাবলীগ জামাত গ্রুপের লোকজনের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এড়াতে বুধবার শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের নিরালা মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আশেকপুর বাইপাসসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। মাঠে আছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামছুল হক কাসেমী সংবাদ সম্মেলনে জানান, নেজামউদ্দিন অনুসারী সাদ পন্থীরা তাবলীগ জামাতের নামে ইসলামের অপব্যাখ্যা করে মুসলমানের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমুলক আচরণ করছে। এতে দাওয়াতি কাজকর্ম ব্যপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এই বিষয়গুলোর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ সময় কওমী ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাদপন্থী তাবলীগ জামাতের জেলার জিম্মাদার সদস্য এনামুল হক বলেন, আমাদের যেসব সদস্য টঙ্গী এজতেমাতে যেতে পারেনি তাদের জন্য মুলত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনব্যপী এজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে। এখানে ৯টি দেশের তাবলীগ জামাতের সদস্যরা অংশ নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এজতেমা করছি। মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে কওমী ওলামা পরিষদ। অন্যায়ভাবে আমাদের সদস্যদের তারা টাঙ্গাইল থেকে বিতাড়িত করতে চান। আমরা ধর্য্যরে পরিচয় দিচ্ছি। শান্তিপুর্নভাবে আমাদের এজতেমা করতে চাই। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই। যাতে নির্বিঘে আমাদের তাবলীগ জামাতের দাওয়াতি কর্মকান্ড চালাতে পারি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, যোবায়ের পন্থী কওমী ওলামা পরিষদের লোকজন আমার কাছে এসেছিলেন। তাদেরকে শান্তিপুর্নভাবে অনুষ্ঠান পালনের জন্য বলা হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোন ধরণের সংঘর্ষে জড়াবেন না। তারপরও বিশৃংখলা এড়াতে শহরে শান্তিপুর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।