১৭ বছরে সাধণার ফল। অবশেষে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে লিওনেল মেসির। রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে কাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা।
কেরিয়ারের অন্যতম ঐতিহাসিক জয়ের পর এখনও ঘোরের মধ্যে আছেন মেসি (Lionel Messi)। বিশ্বকাপ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না লিও, এখন তার সমস্ত সময়ের নিত্যসঙ্গী সেইকাপ। ঘুমোচ্ছেন সেই কাপ নিয়েও। ইতিমধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিশ্বকাপ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে শেষ হওয়ার পর পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
এদিন, প্রথমার্ধে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি ফ্রান্স। আর্জেন্টিনা ২৩ মিনিটে মেসির (Lionel Messi) করা পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায়। ৩৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক করে নীলা সাদা ব্রিগেড। ফ্রান্সের উপামেকানো বলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। ম্যাক আলিস্টারের বাড়ানো পাস থেকে গোল করে যান ডি মারিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও খেলার রং ছিলো একই রকম। কিছুতেই দাগ কাটতে পারছিলো না ফ্রান্স। তবে খেলার রং বদলায় আশি মিনিটে, যখন পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সের তরফে এক গোল শোধ দেন এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার ওটামেন্ডি থুরামকে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। এর এক মিনিট বাদে থুরামের পাস থেকে দর্শনীয় গোল করেন এমবাপ্পে, তার এহেন গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স।
১০৮ মিনিটে জয়সূচক গোলটা করে ফেলেছিলেন মেসি এমনটাই মনে করা হচ্ছিলো। কিন্তু ১১৮ মিনিটে এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরায় ফ্রান্স’কে। হ্যাটট্রিক করে দলের কাপ জেতার আশা বাঁচিয়ে রাখেন।
এরপর পেনাল্টি শুট আউটে মেসি (Lionel Messi) এবং এমবাপ্পে গোল করেন। কিন্তু কিংসলে কোম্যানের শট সেভ দিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ। ফ্রান্সের তরফে আরেকটি পেনাল্টি মিস করেন তুচোইমেনি। তবে পারেদেস আর্জেন্টিনার তরফে গোল করেন। ফ্রান্সের কোলো মুয়ানি মারলেও, আর্জেন্টিনার মন্টিয়াল জয়সূচক পেনাল্টি মেরে জয় নিশ্চিত করে ফেলে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর।