অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার মধ্য দিয়ে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে এক হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি।
জাতীয় দলে ২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে মেসির অভিষেক হয়েছিল। বদলি হিসেবে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন মেসি। এ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি ১৬৮ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন হ্যাভিয়ার মাসচেরানো। তিনি ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন।
ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। এই ক্লাবের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ৭৭৮ ম্যাচ খেলেছেন এই বিশ্বসেরা ফুটবলার। এ ছাড়া আরেক ক্লাব পিএসজির হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৩ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। সব মিলিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে মেসি হাজার ছোঁয়ার অপেক্ষায়। বিশ্বমঞ্চে নক-আউট পর্বের ম্যাচ দিয়ে চার অঙ্কে প্রবেশ করবেন মেসি। ছুঁয়ে ফেলবেন হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বমঞ্চে অনেক রেকর্ডে স্বাক্ষর রেখেছেন মেসি। সৌদি আরবের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে চার বিশ্বকাপে গোল করেন। এর ফলে পেছনে ফেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা এবং গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে।
লিওনেল মেসি ২০০৬ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলেন। এ বিশ্বকাপে মাত্র একটি গোল করেছিলেন। এরপর ২০১০ বিশ্বকাপে গোলশূন্য ছিলেন মেসি। তবে ব্রাজিল, রাশিয়া ও কাতার বিশ্বকাপে গোল দেখা পেয়েছেন মেসি।
এ ছাড়া দ্বিতীয় বয়স্ক আর্জেন্টাইন ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করেছেন মেসি। সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে গোল করার দিনে মেসির বয়স ছিল ৩৫ বছর ১৫১ দিন। যে রেকর্ড নিজের করে রেখেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন মার্টিন পালেমো। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে পালেমো যখন গোল করেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ৩৬ বছর ২২৭ দিন।