রবিবার (২৫ সেপ্টম্বর) বিকাল পাঁচটা নাগাদ ইভ্যালি বাংলাদেশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, “সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারি, পিক এন্ড পে এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি তে উপভোগ করুন আকর্ষণীয় সকল পণ্য!
এর আগে, ইতিমধ্যে ইভ্যালির ফেরিভায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গ্রাহক/মার্চেন্ট এর টাকা ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত পোস্টও করা হয়। সবশেষ সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বিটিভিতে সরাসরি বক্তব্যে ইভ্যালি পরিচালনা ও দেনা-পাওনা পরিশোধের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মাহবুব কবির মিলনকে বক্তব্য ইভ্যালির পেজে তুলে ধরা হয়েছে, যা পাঠাকের জন্য তুলে ধরা হলো:
লাইভে মাহবুব কবির মিলন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অডিট রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইভ্যালি আদালতের পর্যবেক্ষণে চলবে, দুইজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর থাকবেন, একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আরেকজন ই-ক্যাবের। তাই আগের ইভ্যালি আর এখনকার ইভ্যালি এক নয়, তাই এখানে জটিলতার কিছু নাই। যদি ইভ্যালি এবার সততা, স্বচ্ছতার সাথে এবং ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করে, তাহলে আস্থার সংকট কাটিয়ে আনা সম্ভব । তবে সেলার এবং ভোক্তাদের অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং তাদের সাহায্য, সহযোগিতার প্রয়োজন। আমরা গ্রাহক এবং মার্চেন্ট এর কথা চিন্তা করে ইভ্যালিকে দেউলিয়ার হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।
আমরা কাগজে-কলমে ব্যাংকিং সেক্টর এবং গেটওয়ে থেকে যে তথ্যগুলো পেয়েছি, এখানে ৬ হাজার ৫২ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৮৩ টাকা লেনদেন হয়েছে।
আরেকটা প্রশ্ন যেটা কি না আমরা লাস্ট ১১ মাস ফেস করেছি, রাসেল সাহেব মুক্তি কখন পাবে। এটা পুরোপুরি আইনি প্রক্রিয়ায় নির্ভর করছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে জামিন পেতে হবে। তবে ইভ্যালি পুরোপুরি ভাবে শুরু করতে রাসেল এর প্রয়োজন, সেটি যখনই হোক।
আমরা অনেক সাজেশন দিয়েছি। কোথায় ডেভলপমেন্ট করতে হবে বলেছি। রিক্রুট কিভাবে করতে হবে বলেছি। সামনে রিক্রুটমেন্টে কিছু কিছু লোককে আর কখনোই চাকরি দেওয়া যাবে না, এটিও বলেছি। শেষ কথা, সবাইকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে। বর্তমান নীতিমালায় আর কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা করার সুযোগ নাই। সরকার এখন সম্পূর্ণ মনিটর করছে। সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এর সুযোগ পাওয়া উচিত।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.