জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মোবাইল লুডু’র মাধ্যমে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে রিফাত মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে খুন করেছেন প্রতিবেশী এক ঘাতক রাহাত মিয়া (২০)।
বৃহস্পতিবার (১সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ-ঘটনায় ঘাতক রাহাতে মা আফরোজা বেগমকে আটক করেছেন পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পৌরসভার বলারদিয়ার গ্রামের মানসিক রোগি আশরাফ শেখের হোসেনের ছেলে রিফাত মিয়া ও একই গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে রাহাত মিয়া।
তারা উভয়ে মিলে গত বুধবার রাতে বলারদিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে মোবাইলে লুডু গেমের মাধ্যমে জুয়া খেলতে ছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি-হাতাহাতি শুরু হয়।
এসময় মার খেয়ে রিফাত তার বাড়ী চলে আসে। এ নিয়ে দু’পরিবারে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বুধবার রাতেই রাহাতের মা আফরোজা বেগম রিফাতের দাদা রসুল শেখের কাছে যান। তাদের আলাপচারিতা চলাকালে ঘাতক রাহাত সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। এতে রিফাত ও রাহাতের মধ্যে ফের ঝগড়া বেধে যায়। এ সময় রাহাতের মা রিফাতকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। এরমাঝে রাহাত একটি কাঠের পিঁড়ি দিয়ে রিফাতের মাথায় স্বজোরে আঘাত করে। এতে রিফাত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে পরিবারের লোকজন রিফাতকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার ভোরে রিফাত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে দিগপাইত এলাকায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠাতে থানায় নিয়ে আসে।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, মোবাইলে লুডু খেলা নিয়ে রিফাত খুন হয়। ঘটনাস্থল থেকে রিফাতের লাশ থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক রাহাত পলাতক রয়েছে, জিঞ্জাসাবাদের জন্য তার মাকে আটক করা হয়েছে।