গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বোয়ালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গাছবাড়ী এলাকায় সালেহা বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা কিছুদিন আগে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে উপজেলার মৌচাক এলাকায় অবস্থিত মৌচাক পপুলার হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার নিতে। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে পরিক্ষা নীরিক্ষা করে জানান জরায়ুতে টিউমার ধরা পড়েছে। দ্রুত অপারেশন করতে হবে। চিকিৎসকের কথা মতো গত ১৯ জুলাই অপারেশনের জন্য সালেহা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। এদিকে হাসপাতালের সার্জন রোগীর জরায়ুতে থাকা টিউমার অপারেশনের সময় ভুল বসত মুত্রথলি কেটে ফেলে। এ ঘটনার দুইদিন পর রোগীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে রোগী সালেহা বেগমের অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতি হলে। বিপাকে পরেন রোগী ও তার পরিবার।
অপরদিকে রোগী সহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে চিকিৎসক তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে পরিক্ষা করে ভাল কোন হাসপাতালে ভর্তি করে পুনরায় অপারেশন পরামর্শ দেন। তখন ওই রোগীর ছেলে জাকির হোসেন প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় ওই রোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এক পর্যায়ে রোগী সালেহা বেগমের ছেলে জাকির হোসেন বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে কালিয়াকৈর থানার মৌচাক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম রোগীর পরিবার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে মিমাংসার কথা বলেন। সে সময় রোগীর পরিবার পুনরায় চিকিৎসার দাবী জানান। তবে সেটা অস্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আল বেলাল জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।