১৯৮৯ সালে জ্যানেট জ্যাকসনের গাওয়া রিদম নেশন গানের মিউজিক ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয়। কোরিওগ্রাফি এবং পরিচালনার জন্য সবার প্রশংসা পেয়েছে মিউজিক ভিডিওটি। সেরা লং ফর্ম মিউজিক ভিডিওর জন্য গ্র্যামি পুরস্কারও জিতেছে গানটি। কিন্তু গানটির এক আশ্চর্যজনক ক্ষমতার কথা জানা গেছে এবার।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, এই ডিস্টোপিয়ান পপ গানের ভিডিওটি ল্যাপটপ ক্র্যাশ করার মতো ক্ষমতা রাখে। এই সপ্তাহে একটি ব্লগ পোস্টে কম্পানির প্রধান সফটওয়্যার প্রকৌশলী রেমন্ড চেন বলেছেন, সম্প্রতি একজন সহকর্মী তাকে উইন্ডোজ এক্সপির জন্য গ্রাহকদের সহায়তা প্রদানের একটি গল্প বলেছেন।
চেন লিখেছেন, “একজন মুখ্য কম্পিউটার নির্মাতা আবিষ্কার করেছে যে জ্যানেট জ্যাকসনের ‘রিদম নেশন’ গানটির ভিডিও চালালে কিছু ল্যাপটপ ক্র্যাশ করবে। ”
পরে তদন্তে দেখা যায়, গানের ভিডিওটি চালানোর কারণে শুধু তাদের ল্যাপটপই নয়, অন্য কম্পানির ল্যাপটপও নষ্ট হয়েছে।
তবে এই অদ্ভুত আবিষ্কারটি কখনো সামনে আসেনি। সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার এই যে, শুধু একটি ল্যাপটপে ভিডিওটি চালানোর ফলে আশপাশে থাকা অন্য ল্যাপটপও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চেন এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘দেখা যাচ্ছে যে গানটিতে একটি প্রাকৃতিক অনুরণন ফ্রিকোয়েন্সি রয়েছে, যা ল্যাপটপগুলোতে থাকা ৫৪০০ আরপিএমের হার্ড ড্রাইভের সাথে মিলে যায়। ’
একজন অপেরা গায়ক একটি নির্দিষ্ট স্বরে গান গেয়ে কাচ ভেঙে ফেলতে পারতেন। এ ঘটনাটিও সে রকম। যেহেতু শব্দগুলো একধরনের তরঙ্গ তাই তাদের একটি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা ফ্রিকোয়েন্সি রয়েছে, যা সর্বোচ্চ কম্পন তৈরি করতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাপটপগুলো নিয়ে ২০০৫ সালে দ্য মিটার করপোরেশনের করা এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেই ফ্রিকোয়েন্সিটি জ্যানেট জ্যাকসনের গানটিতেও ছিল। তারা এটিকে সুরক্ষা দুর্বলতা হিসেবে ব্যাখ্যা করে বলেন, রিদম নেশন মিউজিক ভিডিওর অডিও সংকেত সিস্টেমকে ক্র্যাশ করতে বাধ্য করতে পারে।
সৌভাগ্যক্রমে এখন আর এই সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা নেই। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, অডিও পাইপলাইনে একটি ফিল্টার যুক্ত করা হয়েছে। যা অডিও চালানোর সময় আপত্তিকর ফ্রিকোয়েন্সিগুলোকে শনাক্ত করে সরিয়ে দেয়।