প্রায় দুই মাস আগে পারিবারিকভাবে আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। চলতি বছরের শেষ দিকে এই দম্পতির বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বামী হিসেবে রবিনকে পছন্দের কারণ হিসেবে পূর্ণিমা গণমাধ্যমকে জানান, ‘রবিন খুব ভালো একজন মানুষ। যাকে বিশ্বাস করা যায়। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। সে আমার চলচ্চিত্র, ব্যক্তি এবং আগের বিয়ের জীবন সম্পর্কে সবকিছু জেনেই আমার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছে।’
শ্বশুরবাড়ির পরিবার প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, ‘রবিনদের পরিবার খুবই রক্ষণশীল। ভালো লাগা, বোঝাপড়া থেকে দুজনেরই যখন মনে হয়েছে জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাদের আগানো উচিত, তখনই পরিবারকে জানাই।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমার একটা ব্র্যাকগ্রাউন্ড আছে। সবকিছু মিলিয়ে তারা সবাই আমাকে গ্রহণ করবে কিনা, এ নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু তার পরিবার খুব সুন্দরভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছে।’
বিয়ের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী জানান, ‘বিয়ের সিদ্ধান্তটা হুট করেই নেওয়া। রোজার ঈদের পর পরিবারকে জানাতেই তারা বলেন, দেরি করো না। এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেল। তেমন কোনো প্রস্তুতিও ছিল না। হুট করেই আমরা বিয়েটা করেছি।’
রবিনের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা জানান, ‘তখন রবিন অন্য একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতো। ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে অনেক ইভেন্ট হতো। ইভেন্টে নিজের অধীনে থাকা ব্র্যান্ডগুলো দেখতো সে। সংগীতশিল্পী, ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে ছিল তাদের কাজ। আমিও একসঙ্গে অনেকগুলো টানা কাজ করি। ওখান থেকেই আমাদের কথাবার্তা শুরু। প্রথমে বন্ধুত্ব ছিল। পরে দুজনেই চিন্তা করলাম, একসঙ্গে সংসার করতে পারি। পরিবারকে জানাতেই তারা আমাদের মতামত গুরুত্ব দেন। রবিনের মধ্যে বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ সবই পেয়েছি। সেখান থেকেই সম্পর্ক মজবুত হয়।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তাদের সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে পূর্ণিমা-ফাহাদের সেই সংসার টিকেনি। বেশ গোপনেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।