অভিনেত্রী ও স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত করায় জায়েদকে চড় মেরেছেন ওমর সানী, জায়েদ পাল্টা ক্ষিপ্ত হয়ে বন্দুক বের করে বলেন, মেরে দেব- শনিবার রাত থেকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। জায়েদ খান বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানালেন ডিপজল।
রবিবার দুপুরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে ডিপজল বলেন, আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান বেশ ভালোভাবেই হয়েছে। সবাই আনন্দ করেছে। আপনারা যে ঘটনার কথা বললেন, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খান এসেছে হাসিমুখে, ওমর সানী এসেছে। দুজনই আমার পাশে বসেছে। কোনো চড় মারা বা বন্দুক বের করার ঘটনা ঘটেনি।
ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে রয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, ওমর সানী হাসিমুখে বর ও বউয়ের পাশে বসে আছেন। গল্প করছেন। এক পাশ থেকে অপর পাশে এসে সৌমিকের সঙ্গে গল্প করছেন। মানুষজন এসে ওমর সানীর সঙ্গে কথা বলছে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, জায়েদ খান একটু চিন্তিত। ডিপজলের কানের কাছে গিয়ে বারবার কথা বলছেন। ডিপজল সেসবের উত্তর দিচ্ছেন। পরে আরেকটা ভিডিওতে দেখা যায়, ডিপজলের পরিবারের সবার সঙ্গে জায়েদ খান হাসিমুখে দাঁড়িয়ে।
কানে কানে কী কথা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত কিছু। তেমন জরুরি কিছু না। কিন্তু আপনারা যেটা বলছেন বা ওমর সানী যেসব বলছে; আমার জানামতে এমন কোনো কিছু ঘটেনি।
এর আগে ওমর সানী বলেন, রাত ৯টায় ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। জায়েদ অনেক দিন ধরেই বেয়াদবি করে আসছিল। ওকে আমি সরাসরি পাচ্ছিলাম না। জানতাম বিয়েতে আসবে। ওকে কথায় কথায় চড় দিই। তখন জায়েদ পিস্তল উঠিয়ে গুলি করতে চায়। ওর কাছে তো লাইসেন্স করা পিস্তল আছে, এটা তো সবাই জানেন। ’ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘আপনারা চাইলে খোঁজখবর নেন। যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান সেখানে আর্মস ক্যারি করা যায় না। ‘
মূলত মৌসুমীকে জায়েদ খান বিরক্ত করেন বলে সানীর অভিযোগ। তবে ডিপজলের কথার সঙ্গে জায়েদের কথার মিল ছিল, জায়েদ বলেছেন ওমর সানীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছে। আর সানী অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন বলেও জানান জায়েদ।