উপস্থাপনা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করা এলিনা শাম্মী বর্তমানে ব্যস্ত নাটক ও সিনেমার কাজ নিয়ে। বিশেষ করে কাজ করে যাচ্ছেন একের পর এক সিনেমায়। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ইফতেখার শুভ পরিচালিত ‘মুখোশ’ সিনেমায়। এতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এই সিনেমায় ‘নেহা’ চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয়ে দর্শক মুগ্ধ হয়েছেন। অনেকেই তার চরিত্রটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আগামী কিছুদিনের মধ্যে (কিছু সিনেমার কাজ শেষ হবার পর) একের পর এক মুক্তি পাবে শাম্মী অভিনীত শ্যাম বানেগাল পরিচালিত ‘মুজিব’, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের ‘অপুর বসন্ত’, জেসমনি আক্তার নদী’র ‘চৈত্র দুপুর’, অপূর্ব রানার ‘জলরং’, অনন্য মামুনের ‘রেডিও’, বন্ধন বিশ্বাসের ‘ছায়াবৃক্ষ’, তানভীর হাসানের ‘মধ্যবিত্ত’। প্রচারে আসছে শিগগিরই শিহাব শাহীনের ওয়েব ফিল্ম ‘সিন্ডিকেট’।
একের পর এক সিনেমাতে কাজ করা প্রসঙ্গে এলিনা শাম্মী বলেন, ‘প্রত্যেকটি সিনেমাতে আমি অনেক আশা নিয়ে কাজ করেছি। কারণ আমি গল্প শুনে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছি। যখনই কাজ শুরু করেছি তখনই নিজেকে চরিত্রানুযায়ী যথাযথভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। মুজিব, টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা, চৈত্র দুপুর, অপুর বসন্ত-এই সিনেমাগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। আশা রাখছি ‘ভাইয়া’রে নিয়ে। মানবপাচার নিয়ে ‘জলরং’ সিনেমাটিরও গল্প দুর্দান্ত। সত্যি বলতে কি যতোগুলো সিনেমার কাজ শেষ করেছি বা মুক্তির অপেক্ষায় সবগুলো নিয়েই আমি আশাবাদী। নির্দিষ্ট একটিকে নিয়ে অনেক বেশি প্রত্যাশার সুযোগ নেই। আমার অভিনীত রায়হান রাফি পরিচালিত ‘জানোয়ার’ ওয়েব ফিল্ম ২০২১ সালের অন্যতম আলোচিত, অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’, অনন্য মামুনের ‘কসাই’ ২০২১-এর আলোচিত সিনেমা। সেদিক বিবেচনায় করোনাকালীন সময়েও আমি আমার কাজ দিয়ে আলোচনায় থাকতে পেরেছি। এটা আমার সৌভাগ্য।’
সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে উপস্থাপনাতে আর দেখা যায় না তাকে। তবে এলিনা উপস্থাপনাকে ভীষণভাবে মিস করেন। তাই তিনি জানান, বড় কোন প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপনার সুযোগ এলে তিনি তা সানন্দে করবেন।
সিনেমার কাজের পাশাপাশি ঈদের নাটকের কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। আগামী ঈদের জন্য তিনি সেরনিয়াবাদ শাওনের পরিচালনায় ‘নাগরিক’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন। এছাড়া শিগগিরই আরটিভিতে প্রচারে আসছে শফিকুর রহমান শান্ত্বনু’র রচনা ও মাহমুদ হাসান রানার পরিচালনায় ‘ঝড়ের পাখি’।