গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাসের টিকা নিবন্ধনকারীদের মাঝে সেবা গ্রহণে ও নমুনা প্রদানে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে ।এতে করে
করোনা সংক্রমন উর্ধ্বমুখী হওয়ায় আসংকা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই করোনার নমুনা প্রদানে হুমরি খেয়ে পরছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । টিকা নেয়ার প্রবণতা প্রথমদিকে কম থাকলেও বর্তমানে টিকা গ্রহণের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
কয়েক লাখ লোকের বসবাস এই উপজেলায়।তা ছাড়া এই এলাকা শিল্পাঞ্চল হওয়াতে শুধু কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই করোনা টিকাকেন্দ্র থাকায় টিকা নিবন্ধনকারী ও নমুনা পরীক্ষার জন্য জনসাধারণ ব্যাপক ভাবে ভিড় করছেন। কিন্তু এই উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে শুধু টিকাকেন্দ্র থাকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বাস্থ্য কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।তা ছাড়া টিকা প্রদানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনারও ঘাটতি রয়েছে।যেমন টিকা গ্রহনকারীরা আগে পরে সিরিয়াল না মানার প্রবনতা লক্ষ করা গেছে। সেবা প্রত্যাশিদের মাঝে শারীরিক দূরত্ব নূন্যতম লক্ষ করা যায়নি।উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। গাদাগাদি করে, ঠেলা ঠেলি করে একজনের উপর আরেকজন ভর করে টিকা কার্ড জমা দিতে দেখা গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ একদিকে ভোগান্তিতে পড়েছেন, অপরদিকে টিকা গ্রহণ করতে এসে নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনা ভাইরাসের টিকা নিবন্ধনকারী পুরুষ ও মহিলা গন টিকাকেন্দ্রে নামেমাত্র লাইন দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন কোনো প্রবনতা ছিলনা। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও ছিলনা কোনো শারীরিক দূরত্ব।আজ ৩১শে জুলাই শনিবার সকাল দশটা পর্যন্ত এই টিকা কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দায়িত্বে কোন আনসার বা ভলান্টিয়ার দেখা যায়নি। শুধুমাত্র দুইজনকে সাদা পোষাকে প্রধান ফটকে অটো-ইজিবাইক ও গাড়ী নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। টিকাদান কর্মসূচি এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ রোধের বিপরীতে সংক্রমন হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সকাল নয়টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও টিকা নিবন্ধনকারীরা সকাল নয়টার অনেক আগে থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে লাইনে দাড়ায়। পরে তাদের মাঝে লাইন ভেঙ্গে আগে টিকা নেবার প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে। কথা হয় নিবন্ধনকারী চন্দ্রা এলাকার মুনিরা বেগমের সাথে তিনি জানান,সকাল সাতটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি,কিন্তু কোন সিরিয়াল মানা হচ্ছেনা। এ দিকে কথা হয় বলিয়াদী এলাকার সুরেন্দ্র চন্দ্রের সাথে তিনিও বলেন, সকালে লাইনে দাঁরিয়ে থাকার পরও কোন লাভ হচ্ছেনা, এখানে কোন শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠ ব্যবস্হাপনা নেই। সফিপুর এলাকার ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নিয়ম যদি এরকমই থাকে তাহলে মানুষ সুরক্ষার জন্য এসে উল্টো সংক্রমিত হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তার সাথে কথাবলার জন্য সকাল দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও অফিসে পাওয়া যায়নি। পরে দুপুরে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডাঃ আল-বেলাল বলেন, দিনদিন রোগির সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে তুলনায় আমাদের লোকবলের অভাব রয়েছে। তবে সামনের দিন গুলোতে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।