গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত একদিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০০টাকা। যানজট নিরসনে সেতুর টোলপ্লাজার উভয় পাশে ১৮টি পয়েন্টে টোল আদায় করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
টোল প্লাজা সূত্র জানা গেছে, স্বাভাবিক অবস্থায় এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ততোই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০০টাকা। আগে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর গেল ঈদে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৭৬৮টি যানবাহন পারাপার হয়। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।
অপর দিকে মানুষ এবার স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) নূর-ই-আলম। তিনি কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক দুই লেনের। যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেই সড়কটি একমুখী করে দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন এই সড়ক হয়ে সেতু পর্যন্ত যাবে। অপরদিকে ঢাকামুখী যানবাহন সেতু পার হয়ে বিকল্প সড়ক ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা আসবে।