গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে গত বুধবার বিকেলে এক তরুণী ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এসএম জোযায়ের হিমেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বিচার প্রার্থনা করেন। ফেসবুক লাইভে এসে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন ওই তরুণী। তিনি গতকাল থেকেই আত্নগোপনে রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা জানান।
ওই তরুণীর সাথে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। সে সময় তরুণী সমকালকে জানান, আমি গত বুধবার সকালে ওই নেতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকতার্ নাজিম উদ্দিনের কাছে জমা দেই। তিনি থানার সিলসহ একটি কপি আমাকে ফেরত দিয়ে আরেকটি কপি রেখে দেন। বিকেলে থানার ওসি আকবর আলী খান গণমাধ্যম কর্মী দের আমার কোন অভিযোগ পায় নাই বলে প্রচার করেন।
ওই তরুণী আরো অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে কয়েকজন সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও হিমেল নিজ থানায় গিয়ে ওসি আকবর আলী খানের সাথে গোপন বৈঠক করে আমার মামলা রজু না করতে অপচেষ্টা করছেন। আমার মামলারজু করে তদন্ত সাপেক্ষে ওই নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী জানাই।
তরুণী আরো জানান, ওই ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের ভয়ে মৌচাকের ভাড়া বাসা ছেড়ে এখন আত্নগোপনে রয়েছি।
ওই তরুণীর বাবা সেন্টু মিয়া জানান, অনেক অজানা যুবক আমার বাসার আশপাশ দিয়ে ঘুর ঘুর করছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে মেয়েকে দুরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাই আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই তরুণী বৃহস্পতিবারও মিথিলা আনজুম হিরা নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দুপুরের ফেববুক লাইভে এসে ওই ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের বিচার দাবী করেন। এ সময় ওই তরুণী মামলা থেকে কখনো সরে আসবে না বলেও উল্লেখ্য করেন।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাত্রলীগ নেতা এসএম জোবায়ের হিমেলের দেওয়া বক্তব্য প্রতিপক্ষরা আমাকে দিয়ে তার সম্মান নষ্ট করছে বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সত্য নয়। আমার সাথে যে অসভ্যতা করেছে তার বিচার চাইতে থানায় অভিযোগ ও ফেসবুক লাইভে সচেতন মহলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, ওই তরুণীর অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তাকে রাতে থানায় আসতে বলেছি। যাই ঘটুক ঘটনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।