বিনোদন

পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ ১২ মে

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দমন আইনে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। পরীমণি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। এ সময় অন্য দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবী আপিল ডিভিশনের আবেদনের কপি আদালতে দাখিল করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ মে দিন ধার্য করেন।

১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

ওই দিন মামলার বাদির জবানবন্দি শেষে পরীমণি ও কবীর হালদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমণির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। আদালত এদিন অবশিষ্ট জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

গত ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন।

গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদ জাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দু’আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তিনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।

তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা দায়ের করেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker